নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ২নং দাদপুর ইউনিয়নে স্বামীর সহায়তায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে সুধারাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে, রোববার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী গৃহেই এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত মো. মাসুদ সদর উপজেলার বারাহীপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে। মামলার অপর আসামি ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী।
ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী অটোরিকশা চালক। তাদের ১০ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। রোববার রাতে অটোরিকশা চালানো শেষে বাড়ি ফিরে আসেন ভুক্তভোগীর স্বামী। পরে স্বামী-স্ত্রী তাদের ঘরে বিছানা পেতে ঘুমাতে যান।
এ সময় স্বামী তাকে জানান, তার পক্ষে আর একা সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। একজন লোক আসবেন। তার সঙ্গে তোমাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে।
এ কথা শুনে স্বামীর সঙ্গে তার স্ত্রীর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। স্বামীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে ভুক্তভোগীর স্বামী তার সালোয়ার কামিজ খুলে ফেলে ওড়না দিয়ে দুই হাত বেঁধে ফেলেন। পরে স্বামী বসতঘরের দরজা খুলে দিলে ধর্ষক মাসুদ ঘরে প্রবেশ করেন।
একপর্যায়ে স্বামীর সহায়তায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাসুদ ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। সকাল বেলা ভুক্তভোগী বিষয়টি পরিবারের সবাইকে জানান।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।