লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামের দিনমজুর মমতাজ উদ্দিন (৮৫) সরকারী রেজিষ্ট্রার ও বালাম নাম্বার জালকরন,ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরী,ইউপি ভুমি কর্মকর্তার সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি সহ বিভিন্ন অভিযোগে ইছাপুর ওয়ার্ড মেম্বার ফারুক হোসেন প্রকাশ সিঙ্গার ফারুক,আইনজীবি সহকারী আব্দুল মজিদ লালু,মনির হোসেন,ইউপি ভুমি কর্মকর্তা প্রহলাদ কুমার মজুমদার সহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে ৩২জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে লক্ষ্মীপুর আদালতে।
আদালতের নিদের্শেনা পেয়ে রামগঞ্জ থানার ওসি মামলা রুজু করলে আসামীরা প্রকাশ্যে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের প্রাননাশের হুমকি প্রদান করলে শনিবার রাতে স্বাক্ষী বিল্লাল হোসেন জীবনের নিরাপত্তা ছেয়ে রামগঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
সুত্রে জানায়, উপজেলার ইছাপুর গ্রামের ৮৫বছরের বৃদ্ধ দিনমজুর মমতাজ উদ্দিন তার পুত্র সাইফুল ইসলাম সুমনকে বিগত ১৩/১০/২০২০ সালে ৪০৮১ হেবা দলিল মুলে ৪০৪২ দাগের অন্দরে বসতভিটায় ৫শতাংশ সম্পত্তি রেজি: করে। আসামীরা উক্ত সম্পত্তি জবর-দখলের চেষ্টা করলে সম্পত্তির মালিক সাইফুল ইসলাম আদালতে ৬৪৩/২২মামলা করে। স্থানীয় ভাবে সালিশী বৈঠকের সিন্ধান্তমতে বাদি সাইফুল ইসলাম ওই মামলা প্রত্যাহার করে। এরি মাঝে আসামীরা সাইফুল ইসলামের নামে রেজিঃ হওয়ায় ৪০৪১ এবং বায়া ৭৩৫০ দলিলের ফটোকপি নিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে,ইছাপুর ইউপি ভুমি কর্মকর্তা প্রহলাদ কুমার মজুমদারকে ম্যানেজ করে ভুয়া জমা-খারিজ দেখি ওই সম্পত্তির উপর থাকায় টিনের বসতঘর ভেঙ্গে পাকা ভবন নির্মান কাজ শুরু করলে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হয়। সৃষ্ট ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ নির্মান কাজ বন্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
বাদি মমতাজ উদ্দিন ১৪/৭/১৯৯৭ সালের ৪৩৯০ নং মূল দলিল এবং আসামীদেও টেম্পারিং ও জাল করা একই নাম্বারের দলিল,১৫/১/২০২২ সালে আসামীদের তৈরী করা ৪৩৯০ দলিল,প্রতারনার মাধ্যমে সৃজিত ৮৯৮নং জমা-খারিজ, ভুয়া ওয়ারিশ সনদ সহ প্রতারনার ৬১ কপি প্রমানিক কাজপত্র দাখিল করে ৩০ জুলাই-২০২৩ইং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে ম্যাজিস্ট্রেট রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এফআইআর ট্রেট করার আদেশ দেয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের র্নিদেশ পেয়ে ৩রা আগস্ট রাতে রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মামলা রুজু করে।
এতে আসামী ক্ষীপ্ত হয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে বাদীপরিবারকে চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি স্বাক্ষীদের প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। মামলা স্বাক্ষী বিল্লাল হোসেন শনিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের জানান,সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে আসামীরা যেসব জালিয়াতির আশ্যয় নিয়েছে আমরা সবকিছুই জানি। এই জন্য স্বাক্ষী থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিচ্ছে। মামলার বাদি বলেন, এলাকার সমস্যা সমাধান করতে মেম্বার-চেয়ারম্যান হয়। সেখানে মেম্বার ফারুক নিজেই সম্পত্তি জবর-দখল করতে অন্য আসামীদেও সহযোগীতা প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে।
এব্যাপারে জানতে আসামীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।