নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে সুজন (৩৮) নামে এক সৎ বাবাকে গোপনে সৎ মেয়ের গোসলের কুরুচিপূর্ণ ছবি ধারণ করে অবৈধভাবে মেলামেশার চেষ্টা চালানোর দায়ে ‘পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন’ মামলা গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত তৌহিদুল ইসলাম সুজন জেলার সেনবাগ উপজেলার ফলতী গ্রামের আবুল কাশেমে
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, তৌহিদুল ইসলাম সম্পর্কে ভিকটিমের সৎ বাবা হয়। ছোটবেলায় ভিকটিমের বাবা মারা যাওয়ায় ভিকটিমের মা তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হন। সেই সুবাধে ভিকটিম তার মায়ের সঙ্গে তৌহিদুল ইসলামের বাড়িতে থাকতেন।
তৌহিদুল কৌশলে ভিকটিমের গোসলের সময় গোপনে কিছু কুরুচিপূর্ণ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা দেখিয়ে প্রায় ভিকটিমকে অবৈধভাবে মেলামেশার প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার কুরুচিপূর্ণ ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্বজন ও পরিচিত লোকজনদের কাছে পাঠাবে বলে হুমকি দেয় তৌহিদুল।
এতে ভিকটিম প্রতিবাদী হওয়ার চেষ্টা করলে ২২ জুলাই গভীর রাতে ভিকটিমের কক্ষে ডুকে ভিকটিমকে পুনরায় অশ্লীল ছবির ভয় দেখিয়ে ঝাপটে ধরে। ওই সময় ভিকটিমের শৌরচিৎকারে ভিকটিমের মাসহ আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তৌহিদুল ভিকটিমের রুম থেকে সরে পড়ে। পরে ভিকটিম বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় সৎ পিতা তৌহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের মামলাটি পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে রেকর্ডভূক্ত করে রোববার রাতে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।