1. rajubdnews@gmail.com : Somoyer Nur : Somoyer Nur
  2. abdunnur9051@gmail.com : SomoyerNur : Abdun Nur
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম
রায়পুর-পানপাড়া সড়কে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাই | সময়ের নুর ডট কম রামগঞ্জে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বিক্রি, ৪ ব্যবসায়ীর জরিমানা | সময়ের নুর ডট কম বেগমগঞ্জ গুলি, ওয়ান শুটারগানসহ গ্রেফতার-৩ | সময়ের নুর ডট কম রামগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশা চালকের মৃত্যু, তিনজন গ্রেপ্তার করে | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে রিকশাচালককে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে দুলাভাইকে বাঁচাতে গিয়ে শ্যালকও মারা গেলেন | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে পুলিশের পৃথক দু’টি মামলায় বি এন পির ৯ নেতাকর্মী কারাগারে | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুর বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ | সময়ের নুর ডট কম শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই দেশে দুর্নীতি কমে যাবে: দুদক ডিজি | সময়ের নুর ডট কম

বড় গরু পালনে লক্ষ্মীপুরের খামারিদের অসাধারণ সফলতা | সময়ের নুর ডট কম

প্রতিনিধি'র নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ৫৩৭ বার পঠিত হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে বড় গরুর উৎপাদন এবার অসাধারণ ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসতেই জেলার বিভিন্ন স্থানে খামারিদের খামারে ১ থেকে ২ হাজার কেজি ওজনের বড় বড় গরুর খোঁজ পাচ্ছে ক্রেতারা।

জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, আসন্ন কোরবানির জন্য লক্ষ্মীপুর জেলাব্যাপী এবার প্রায় ৮০০ গরু রয়েছে যেগুলোর ওজন ৫০০ থেকে ১ হাজার কেজি। আবার ১ হাজার থেকে ২২০০ কেজি ওজনের কিছু গরুও রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ খবরটি অস্বাভাবিক হলেও ‘ভালো’ বলছেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা।

খামারি ও প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাদের ধারণা, বাণিজ্যিক ভাবে খামার স্থাপন ও কৃত্রিম প্রজনন বৃদ্ধির কারণেই জেলাব্যাপী পশু উৎপাদনে এমন ব্যতিক্রম খবর পাওয়া যাচ্ছে।

জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিলব্রিজ সংলগ্ন বিসমিল্লাহ ডেইরি খামারে মাত্র ৬টি গরু পালন করেন মোহাম্মদ উল্লাহ। তার খামারের একমাত্র বড় গরুটির নাম ‘কিং’। তার কিং এতবড় যার কোন ক্রেতা লক্ষ্মীপুর জেলায় নেই। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা তার গরুটি মেপে যে সনদ দিয়েছেন তাতে কিং এর ওজন ২২০০ কেজি বা ৫৭ মণ। গরুটিকে তিনি ঢাকার গাবতলি পশুর হাটে বিক্রয় করবেন বলে ঠিক করেছেন। খামারি মোহাম্মদ উল্লাহ কিং-এর দাম হাঁকছেন ৪০ লাখ টাকা।

কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ সাইফুল ইসলাম। কয়েক বছর আগে দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য একটি গাভী কিনেন। পরে ওই গাভী থেকে একটি বাছুরের জন্ম হয়। বাছুরটিকে লালন পালন শুরু করেন তিনি। নাম রাখেন বাহাদুর। ৪৫ মাস বয়সী বাহাদুরের ওজন এখন ১১০০ কেজি বা সাড়ে ২৭ মণ। কোরবানির জন্য বাহাদুরের পশুর হাটে দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।
সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি কখনো কল্পনাও করেননি তার গরুটি এত বড় হবে।
রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিলব্রিজ সংলগ্ন বিসমিল্লাহ ডেইরি খামারে মাত্র ৬টি গরু পালন করেন মোহাম্মদ উল্লাহ। তার খামারের একমাত্র বড় গরুটির নাম ‘কিং’। তার কিং এতবড় যার কোন ক্রেতা লক্ষ্মীপুর জেলায় নেই। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা তার গরুটি মেপে যে সনদ দিয়েছেন তাতে কিং এর ওজন ২২০০ কেজি বা ৫৭ মণ। গরুটিকে তিনি ঢাকার গাবতলি পশুর হাটে বিক্রয় করবেন বলে ঠিক করেছেন। খামারি মোহাম্মদ উল্লাহ কিং-এর দাম হাঁকছেন ৪০ লাখ টাকা।

কমলনগর উপজেলার কলেজ ছাত্র আহমেদ খান শাকিবের একমাত্র ষাঁড়টির ওজন ৮০০ কেজি বা ২০ মণ। শাকিব এখনো ক্রেতা খুঁজে পাননি।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার গরু বাজারে কথা হয় ক্রেতা হোসেনের সাথে। তিনি জানান, জেলাব্যাপী যেভাবে বড় বড় গরু উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে কোরবানি করতে বড় বাজেট করতে হবে; যা অধিকাংশ মানুষের পক্ষে সম্ভব না।

সালাম নামের অপর একজন জানায়, বড় গরুগুলো কোরবানির হাটে বিক্রি না হলেও মাংসের বাজারে গেলে দেশে মাংসের বাজারের সংকট কাটবে।

সদর উপজেলার বাংগাখা গ্রামের খামারি বেলাল জানায়, গত ৩-৪ বছরের মধ্যে জেলাব্যাপীই এমন বড় বড় গরু উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সকল খামারিদের প্রধান লক্ষ্য অন্য খামারির তুলনায় বড় গরু উৎপাদন। তিনি জানান, বড় গরুগুলো বিদেশি নানা জাতের। বেলালের ধারণা, আগামী বছরগুলোতে স্থানীয় খামারে বড় গরু উৎপাদন আরো ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মোশাররফ হোসেন জানায়, চলতি বছরে জেলায় ৬৩ হাজার পশু কোরবানি দেয়ার জন্য খামারিদের নিকট প্রস্তত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে গরু রয়েছে ৪৫ হাজার।
বড় গরু উৎপাদন বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ” বিগত কয়েক বছর যাবত খামারিরা কৃত্রিম প্রজননের ওপর এবং বিদেশি বড় জাতের গরু লালনপালনে উৎসাহী হয়েছেন। সে কারণে এ বছর কোরবানি পশুর হাটে খুবই বড় বড় গরু দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, আগামী বছরগুলোতে এ ধরনের পশু উৎপাদন লক্ষ্মীপুরে ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে লক্ষ্মীপুরে ১১টি স্থায়ী এবং ৫৫টি অস্থায়ী পশুর হাটে কোরবানির পশু বিক্রয় হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved SOMOYERNUR
Theme Customized BY LatestNews