1. [email protected] : Somoyer Nur : Somoyer Nur
  2. [email protected] : News VOB : News VOB
  3. [email protected] : SomoyerNur : Abdun Nur
লক্ষ্মীপুরে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মুখে হাসি | সময়ের নুর ডট কম - সময়ের নুর
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এম এ তাহের মারা গেছেন | সময়ের নুর ডট কম বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মুখে হাসি | সময়ের নুর ডট কম রামগঞ্জে ডোবা থেকে আব্দুল্যাহ নামক মানসিক রোগীর লাশ উদ্বার | সময়ের নুর ডট কম ডায়াবেটিস দূরে রাখার ৫ উপায় | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে শিকলে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ | সময়ের নুর ডট কম নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়া মাদ্রাসাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০, আটক ১১ হাতিয়াতে পর্যটন কেন্দ্রে তিন যুবতীকে ধর্ষণ চেষ্টা: সংবাদ প্রকাশের পর আটক-১ | সময়ের নুর ভট কম খাওয়ার পর যেসব ভুল করলে হতে পারে বড় বিপদ ! | সময়ের নুর ডট কম

লক্ষ্মীপুরে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মুখে হাসি | সময়ের নুর ডট কম

প্রতিনিধি'র নাম
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩
  • ২০৮ বার পঠিত হয়েছে

মোঃ আরিফ হোসেন (লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি) :

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১ নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়ে খুশি চাষিরা।

মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অপার।

কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যমী কৃষকের হাত ধরে পরীক্ষামূলকভাবে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল ।

বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের সমারোহে মেতে উঠেছে উপজেলার মাঠগুলো। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠবেন বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

১ নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হাসন্দী গ্রামে ও উপজেলার বিভিন্ন সূর্যমুখী চাষ করা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ফুটে থাকা হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমাহারে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। চারদিকে হলুদ রঙের ফুলের মনমাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছিরা ছুটছেন এক ফুল থেকে অন্য ফুলে তাতে মুখরিত হয়ে উঠেছে কৃষকের জমি। এটি যেন ফসলি জমি নয়, এ এক দৃষ্টিনন্দন বাগান।

এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকনে শুধু প্রকৃতিপ্রেমীই নয় বরং যে কারো হৃদয় কাড়বে। তবে সূর্যমুখী ফুল চাষের লক্ষ্য নিছক বিনোদন নয়। মূলত ভোজ্যতেল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা মেটাতে এ চাষ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখীর চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রণোদনার প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকরা এফ-১ (হাইব্রিড) জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা শুরু করেন ।

অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তৈল উৎপাদন সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে ৭ মণ থেকে ১০ মণ বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৪০ লিটার থেকে ২০০ লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার তেলের সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ২৫০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ভোজ্যতেলের আকাশছোঁয়া দাম হওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের।

এছাড়া সূর্যমুখী ফুলের তেল অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তাই ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য এই তেল অন্যান্য তেলের চেয়ে অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্যসম্মত।

হাসন্দী গ্রামের কৃষক মোঃ মাসুদ হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ১২ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। আমার সূর্যমুখী ফুলের জমি দেখার জন্য দূরদূরান্ত লোকজন ছুটে আসছে। বিকেল বেলায় অনেকে লোকজন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেখতে আসেন এ সূর্যমুখী ফুলের জমি, জমির পাশে ছবি তুলেন সময় কাটান অনেকেই। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! শুনছি এটি খুবই লাভজনক একটি ফসল।

ইতোমধ্যেই প্রতিটি গাছেই ফুল ধরেছে। আশা করি সূর্যমুখী চাষে সফলতা আসবে। লাভবান হতে পারব ইনশাআল্লাহ। কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে ধানের পরিবর্তে আগামী বছর আরও জমি বাড়িয়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে দেখে এলাকার অনেক কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সূর্যমুখী এক দিকে মনোমুগ্ধকর ফুল অন্যদিকে লাভজনক ফসল। কৃষকদের বিস্তারিত জানিয়ে সূর্যমুখী আবাদ করার পরিকল্পনা করি। সূর্যমুখীর চাষ করবে কৃষকরা। সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। সয়াবিন ও সরিষা ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণ করবে সূর্যমুখী তেল। বেশি লাভজনক ফসল সূর্যমুখী। তিনি বলেন, আশা করছি ভালো ফলন হবে। আগামীতে এই উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ ব্যাপক হারে আরও সম্প্রসারিত হবে। প্রথমবার কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হবেন বলে আমি আশাবাদী। কৃষকদের এসব তেল প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাত করার ক্ষেত্রেও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved SOMOYERNUR
Theme Customized BY LatestNews