নোয়াখালী প্রতিনিধি :
বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বিবি মরিয়ম (১৯) নামে এক তরুণী।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী আবুল কালাম খানসাবের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তরুণীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় রাতে পুলিশ প্রবাসীর মা ও বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আত্মহত্যার চেষ্টা করা তরুণী উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের উত্তর গুল্লাখালী গ্রামের মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেয়ে।
তরুণীর বড় বোন মর্জিনা বেগম বলেন, ওমান প্রবাসী আবুল কালামের সঙ্গে তার বোনের দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। মোবাইলে তাদের প্রতিদিন কথা হতো। গত ৯ মার্চ আবুল কালাম দেশে আসেন।
শনিবার তারা দুজন হাতিয়া উপজেলা সদরে দেখা করেন। কিছু সময় এক সঙ্গে থাকার পর, কিছু না বলে আবুল কালাম বাড়িতে চলে যান।
তিনি আরও জানান, বিকেলে মরিয়ম তাকে নিয়ে আবুল কালামের বাড়িতে যায়। তাদেরকে দেখে আবুল কালামের পরিবারের সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে এই সম্পর্ক মেনে নিবেন না বলে তাদেরকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। বাড়িতে অবস্থান করা আবুল কালাম আগেই পালিয়ে যান।
পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবুল কালামের পরিবারের সদস্যরা দুই বোনকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে থাকা ইঁদুরের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মরিয়ম। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খালেদ সাইফুল্লা জানান, তরুণী পেটে ইদুরের ওষুধ পাওয়া গেছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে। এখনো সে শঙ্কা মুক্ত নয়।
নলচিরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খালেদুল হাই শাহীন জানান, এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় মেয়েটি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
এদিকে, মরিয়মের বোন মর্জিনা বেগম এই ঘটনায় প্রবাসী আবুল কালাম ও তার পরিবারের ৬ সদস্যকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রবাসীকে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাশ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, হাসপাতালে ভর্তি তরুণীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এই ঘটনায় তার বোন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রবাসীর মা ও বোনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।