1. [email protected] : Somoyer Nur : Somoyer Nur
  2. [email protected] : News VOB : News VOB
  3. [email protected] : SomoyerNur : Abdun Nur
লক্ষ্মীপুরে দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে | সময়ের নুর ডট কম - সময়ের নুর
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৮:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এম এ তাহের মারা গেছেন | সময়ের নুর ডট কম বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মুখে হাসি | সময়ের নুর ডট কম রামগঞ্জে ডোবা থেকে আব্দুল্যাহ নামক মানসিক রোগীর লাশ উদ্বার | সময়ের নুর ডট কম ডায়াবেটিস দূরে রাখার ৫ উপায় | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে শিকলে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ | সময়ের নুর ডট কম নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়া মাদ্রাসাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০, আটক ১১ হাতিয়াতে পর্যটন কেন্দ্রে তিন যুবতীকে ধর্ষণ চেষ্টা: সংবাদ প্রকাশের পর আটক-১ | সময়ের নুর ভট কম খাওয়ার পর যেসব ভুল করলে হতে পারে বড় বিপদ ! | সময়ের নুর ডট কম

লক্ষ্মীপুরে দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে | সময়ের নুর ডট কম

প্রতিনিধি'র নাম
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৮২ বার পঠিত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে এ মৌসুমে ১০ শিশুসহ ১৩৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সদর হাসপাতালে ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তিন শিশুসহ ১৪ জন রোগী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

ইতোমধ্যে ডেঙ্গু রোধে এডিস মশা ধ্বংসে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়রের সঙ্গে সভা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত দুই দিন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের চক বাজার, উত্তর স্টেশন ও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মশারি টাঙিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছে শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী কয়েকজন। মশারির ভেতরে শুয়ে কেউ মোবাইলে ক্রিকেট খেলা দেখছেন, কেউ ওয়াজ শুনছেন, কেউ আবার ঘুমাচ্ছেন। শিশুরা ঘুমালেও তাদের পাশে বসে রয়েছেন স্বজনরা।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডাবের পানি, মাল্টাসহ বিভিন্ন খাবার পরিবেশন করতেও দেখা গেছে কয়েকজন রোগীকে।

এ সময় কথা হয় ডেঙ্গু আক্রান্ত  কয়েকজন যুবকের সাথে, তাদের মধ্যে দুজনই ঢাকায় চাকরি করেন। সেখানেই তারা জ্বরে আক্রান্ত হন। বাড়িতে এসে সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করালে তাদের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ৬-৭ দিন ধরে তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আগের চেয়ে তারা এখন অনেকটা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে মশারির ভেতর শিশু আফরিন জাহান (৫), আবু তালহাকে (৫) ঘুমাতে দেখা যায়। আফরিন রায়পুর উপজেলার চরবগা গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী বাবুল হোসেনের মেয়ে। দাদি কুসুম বেগমের কোলে তাকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ৭-৮ দিন আগে আফরিন জ্বরে আক্রান্ত হন। তাকে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা হয়েছিল। কিন্তু জ্বর ভালো হচ্ছিল না। সোমবার তাকে হাসপাতালে এনে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত তালহা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ গ্রামের মিজানুর রহমান বারাকাতের ছেলে। তার পাশে নানি মাকছুদা বেগমকে বসে থাকতে দেখা যায়। কয়েক দিন জ্বরে আক্রান্ত থাকার পর সোমবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইসমাইল হোসেন আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাড়ি সদর উপজেলার ফতেহ ধর্মপুর গ্রামে। গত বুধবার তিনি বরশি দিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরছিলেন। পুকুরের চারপাশ আগাছায় ভরপুর ছিল। সেখানেই তাকে মশা কামড় দেয়। ওই রাতেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) তিনি হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তিনি আরও জানান, পুরো শরীর প্রচণ্ড ব্যথা করে। ব্যথায় মাথা ফেটে যাচ্ছে। এ ব্যথা সহ্য করার মতো নয়।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে এ মৌসুমে ১৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩২ জন সদর হাসপাতালে ও ৭ জন কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই ৬৯ জন রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সদর হাসপাতালে ৪ জন শিশুসহ ১৪ জন রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আবদুল্লাহ জায়েদ জানিয়েছেন, সারা দেশেই ডেঙ্গু রোগী বেড়ে চলেছে। আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা লক্ষ্মীপুর আসত। কিন্তু এবার লক্ষ্মীপুরেই রোগীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে জেলার প্রত্যেকটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। যাদের ছাদবাগান আছে তাদের অবশ্যই তা পরিষ্কার রাখতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত হলে বাসায় বসে না থেকে হাসপাতালে চলে আসতে হবে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে। কালক্ষেপণ করলেই এ রোগ মারাত্মক হয়ে ওঠে। যারা সময়মতো হাসপাতালে আসে না, তারাই বেশি কষ্টে থাকেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved SOMOYERNUR
Theme Customized BY LatestNews