নোয়াখালী প্রতিদিন :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভা এলাকা থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এক কর্মীর কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার ৩৩ দিন পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার ও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় হলরুমে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর এসপি মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেফতাররা হলেন চৌমুহনী পৌরসভার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজিপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে পারভেজ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর করিমপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে যুবায়েদ হোসেন বিপ্লব, ১১ নম্বর দুর্গাপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত অজি উল্যার ছেলে আমিরুল ইসলাম সুজন এবং গনিপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো.সাহাব উদ্দিন।
এর আগে বুধবার ৩ ছিনতাইকারীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে জেলা ডিবি ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারা জড়িত বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
এসপি মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী দুই ভাই ইয়াছিন আরাফাত রহিম ও মহিউদ্দিন সোহাগ। তারা উপজেলার গনিপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। তবে তাদের বসতঘর থেকে ৪ লাখ ১৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকী আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি আরো জানান, সুজন ২ লাখ টাকা, বিপ্লব ১ লাখ টাকা ও পারভেজ ১ লাখ টাকা ভাগ পান। বাকি টাকা সোহাগ নিজের কাছে রেখে দেন। ঘটনার দিন ঘটনাস্থলের আশেপাশে থেকে সোহাগ টাকাবহনকারীর গতিবিধি সুজনকে জানান। রহিম পালানোর জন্য সহায়তা করেন। ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি রহিমের হলেও সুজনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। সুজন নিজেকে দুর্গাপুর ইউপি যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। রহিম পৌর ছাত্রলীগের কথিত নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন সকালের দিকে চৌমুহনী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাস্টার পয়েন্ট থেকে কর্মী মোজাম্মেল হক ওরফে জামসেদ ১৯ লাখ টাকা তোলেন। ওই টাকা তিনি বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা এজেন্টদের কাছে বিতরণের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। তিনি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে আটিয়াবাড়ি পোল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা তিন যুবক আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তার গতিরোধ করেন। এ সময় মোজাম্মেলের কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান তারা। এ ঘটনায় গত ২১ জুন চৌমুহনী ডাচ বাংলা ব্যাংকিংয়ের মাস্টার এজেন্ট মোহাম্মদ সাইফুল বাশার বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় ওই তিনজনের নামে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা করেন।