বিশেষ প্রতিবেদক :
বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার অর্থায়নে নির্মিত ‘টেকনিক্যাল সেন্টারে’র জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অনুকুলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে ২০ একর জমি হস্তান্তর করেছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ।
সোমবার (৪ জুন) দুপুরে রাষ্ট্রপতির আদেশে কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের জঙ্গল খুনিয়াপালং মৌজার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে ডি-রিজার্ভ করা ২০ একর জমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সরোয়ার আলম খুনিয়াপালং এটিএম জাফর আলম মাল্টিডিসিপ্লিন একাডেমি মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের জমির কাগজ হস্তান্তর করেন ।
বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাইম সোহাগ জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ফিফার অর্থায়নে প্রথমবারের মতো টেকনিক্যাল সেন্টার তৈরি হচ্ছে। যার নাম দেয়া হয়েছে- ফিফা সেন্টার অব এক্সিলেন্স।
তিনি বলেন, চমৎকার ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সব কিছু থাকবে এ ট্রেনিং সেন্টারে। এখানে থাকবে একটি ঘাসের মাঠ এবং আরেকটি আর্টিফিসিয়াল টার্ফ। বিকেএসপির মতো এখানে ফুটবলারদের জন্য একাডেমিক ভবন থাকবে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সবধরনের সুযোগ সুবিধা রাখা হবে এ সেন্টারে। বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি জমি দেখার পর দেশের পর্যটন খাতের কথা চিন্তা করে ফিফার টেকনিক্যাল সেন্টারটি কক্সবাজারে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়।’
আবু নাইম সোহাগ আরো জানান, ‘টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য নির্ধারিত জমির পরিমাণ ২০ একর। এর দৈর্ঘ ৯০৮ ফিট প্রস্ত ৯৬৮ ফিট। সর্বমোট জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ স্কয়ার ফিট। এটার উন্নয়নে ফিফা প্রথম ধাপে সাড়ে তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে। গত ডিসেম্বরে জমি বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে ৬ মাস পিছিয়েছে।
জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সায়মুম সরোয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, রামু উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, ধোয়া পালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, বাফুফে সদস্য বিজন বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন (ডিএফএ) সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হক কোম্পানি, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাফুফের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জের অধীন খুনিয়াপালং বিটের জঙ্গল খুনিয়াপালং মৌজার আরএস ৪২ ও ৪৩ দাগের জঙ্গল শ্রেণির ১৭ একর এবং ৩১ দাগের ছড়া শ্রেণির ৩ একরসহ সর্বমোট ২০ একর জায়গা বাফুফেকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। গত ৭ জুন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে জমিটি ডি-রিজার্ভ করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সে মতেই জমির দখল