বিশেষ প্রতিবেদক :
প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে প্রায় সকলের একটা কমন উক্তি “এতো টাকা কিভাবে বিল আসলো”। বাড়তি বিলের এ বিড়ম্বনা থেকে বাচতে পারেন মাত্র ১৫ টি সচেতনতা দিয়ে, যা হলো :
১. এসির ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন। এটা ময়লা থাকলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে।
২. ত্রুটিপূর্ণ সংযোগের কারণে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। এজন্য পেশাদার কোনো ইঞ্জিনিয়ার ডেকে সংযোগ চেক করিয়ে নিন।
৩. যখন মেশিন বা ইস্ত্রি ব্যবহার করবেন না তখন প্লাগ খুলে রাখুন। কারণ, প্লাগ না খুলে সুইচ বন্ধ রাখলেও বিদ্যুৎ কিছুটা হলেও খরচ হয়।
৪. যখন ঘরে থাকবেন না অপ্রয়োজনে আলো, পাখা চালিয়ে রাখবেন না। সুইচ অফ করে রাখুন।
৫. এসির খরচ বাঁচাতে ঘর ঠাণ্ডা রাখার অন্য পন্থা নিন। উইন্ডো ব্লাইন্ড ব্যবহার করুন জানালায়।
গরমকালে এসি চালালে তরতর করে বাড়ে বিদ্যুৎ বিল। অপ্রয়োজনে এসি না চালিয়ে পাখা চালান।
৬. কম্পিউটার যখন ব্যবহার করবেন না তখন বন্ধ রাখুন অথবা স্লিপ মুডে রাখুন। এতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।
৭. অনেকেই বাড়িতে ডিশ ওয়াশার ব্যবহার করেন। বাসনকোসন হিট ড্রাই না করে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
৮. রান্না করতে করতে বারবার ওভেনের দরজা খুলবেন না। বাইরে থেকেই দেখে বোঝার চেষ্টা করুন। দরজা খুললে তাপমাত্রা কমে যায়। আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ওভেন বেশি বিদ্যুৎ ব্যয় হয়।
৯.গরমকালে এসি চালালে তরতর করে বাড়ে বিদ্যুৎ বিল। অপ্রয়োজনে এসি না চালিয়ে পাখা চালান।
১০. রান্না করার বেশ কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে পানিতে রেখে বরফ ছাড়িয়ে নিন। বারবার মাইক্রোওয়েভ চালিয়ে ডিফ্রস্ট করলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়।
১১. যদি আপনার অল্প-স্বল্প কিছু রান্না করার থাকে তাহলে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের বদলে স্লো কুকার বা টোস্টার ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।
১২.আপনার বাড়িতে এখনো পুরনো ধাঁচের লাইট বাল্ব থাকলে তা বদলে এনার্জি-সেভার বাল্ব ব্যবহার শুরু করুন। এগুলো ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে আর এদের আয়ুও হয় ছয়গুণ বেশি। শুধু বাল্ব নয় বরং আরও কিছু ইলেক্ট্রনিকস ব্যবহার করা যেতে পারে যেগুলো কম বিদ্যুতেই চলে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
১৩. ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। খরচ কমাতে চাইলে কখনোই গরম পানির সেটিং ব্যবহার করবেন না। পানি গরম করতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর ড্রায়ারে কাপড় শুকানোর বদলে বারান্দা বা ছাদে দড়ি টাঙিয়ে নিন। নেহায়েত বর্ষাকাল না হলে ড্রায়ার ব্যবহারের তেমন কোনো যুক্তি নেই।
১৪. রেফ্রিজারেটরের কয়েল পরিষ্কার রাখলে তা চলতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে না। বছরে দু’বার করে একে পরিষ্কার করিয়ে নিলে আপনার বিল কম আসবে। একইভাবে আপনার এসির ফিল্টারও পরিষ্কার রাখুন। এটা ময়লা থাকলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে।
১৫.রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা রাখুন ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। আর ফ্রিজারের তাপমাত্রা রাখুন -১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। এতে খাবার সুরক্ষিত থাকবে। বেশি ঠাণ্ডা করে রাখলে বিদ্যুৎ নষ্ট হয়।