মো.আরিফ হোসেন :
লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য পদে ফরম জমা দিতে গিয়ে মো. কামরুজ্জামান নামের এক প্রার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন। এসময় তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আহত কামরুজ্জামান বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত কামরুজ্জামানের জানান, তিনি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য পদে প্রধান শিক্ষক বেলালের কাছে তিনি দুপুরে ফরম কিনতে যান। প্রথমে তাকে ফরম না দিয়ে পোদ্দার বাজারে পাঠানো হয়। সেখানে কোনো দোকানে ফরম না পেয়ে তিনি ফের বিদ্যালয়ে যান। এসময় তিনি ফরম কিনে নেন। এটি পূরণ করে জমা দিতে গেলে অনুসারীদের নিয়ে কাশেম জেহাদী এসে গুলি করার হুমকি দিয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এসময় তাকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করা হয়। এতে তিনি ফরম জমা দিতে না পেরে বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন। বুধবার শেষ সময় পর্যন্ত সদস্য পদে চারজন পুরুষ ও একজন নারী ফরম জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম। আমার সামনে কোনো ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বাইরে কোনো কিছু হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।’
বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন বলেন, কাশেম জেহাদী ও তার অনুসারীরা কয়েকজনকে বিদ্যালয়ের ফরম জমা দিতে দেননি। তারা একজনকে মারধর করেছেন।
বক্তব্য জানতে রাতে আবুল কাশেম জেহাদীর মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ইউএনও আমাকে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।