আরিফ হোসেন :
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় মুক্তিপনের দাবিতে জিম্মি করা পাঁচ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় এলজি-গুলি ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচ জলদস্যুকে আটক করে নৌ-পুলিশ।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের হেলালেরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
মজুচৌধুরী ঘাট নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর নদী এলাকা থেকে মাছ ধরার সময় জেলেদের অপহরণ করা হয়। পরে মাঝিদের পরিবার ও আড়তদারদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুরের হেলালের চর এলাকায় একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে আটকে রেখে মারধর করা হয়। শনিবার বিকেলে নিয়মিত টহলের সময় মাঝিদের বাঁচানোর আকুতি শুনে নৌ-পুলিশ এগিয়ে আসে। এ সময় দ্রুত জলদস্যুরা নদীর পাড়ের চরে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়।
নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, নোয়াখালীর হাতিয়ার নুরনবী, মো. মহি উদ্দিন, বাসু দেব, কোম্পানীগঞ্জের অলি আহমেদ ও লক্ষ্মীপুরের রামগতির আবদুল বারেককে নদীতে মাছ ধরার সময় অপহরণ করা হয়।
আটক জলদস্যুরা হলেন- ভোলার কালুপুর গ্রামের মঞ্জুর আলম বেপারী, একই গ্রামের আবদুর রহিম, লক্ষ্মীপুর সদরের চর রমনী মোহন এলাকার হযরত আলী, রামগতির আলেকজান্ডার গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও একই গ্রামের মো. হাসান।
উদ্ধার অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেশে তৈরি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি ছেনি, নদীতে ব্যবহৃত ২টি চার্জ লাইট। এ ছাড়া জব্দ করা হয় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলার।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মুক্তিপনের জন্য মাঝিদের জিম্মি করা হয়েছিল। নিয়মিত টহলকালে তাদের উদ্ধার ও জলদস্যুদের অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হবে।