বিশেষ সংবাদদাতা :
বরিশাল সদর উপজেলায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে সাহেবের হাট বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। তবে মামলার বাকি দুইজন আসামি এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায় । আসামিরা ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদর উপজেলার ১০ নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড টুমচর গ্রামে। অপহরণের শিকার মেয়েটি আলহাজ্ব আঃ মজিদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়। পরদিন সকালে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করে ছাত্রীর বাবা।
মামলায় বরিশাল সদর উপজেলার ১০নং চন্দ্র মোহন ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড টুমচর গ্রামের মোঃ রহিম হাওলাদারের ছেলে, মোঃ রাজিব হাওলাদার, একই গ্রামের মোঃ রাহুল মাতুব্বর পিতা বাবুল মাতুব্বর, মৃত ফজলে আলী হাওলাদারের পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন আ’লীগ ও কমিউনিটি পুলিশিং এর ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ রহমান হাওলাদারসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়। থানায় মামলা হওয়ার ৭ দিন পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি বখাটে রাজিব হাওলাদারকে গ্রেফতার করে এবং অপহরণের শিকার ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তবে স্থানীয় ক্ষমতা জোরে সাবেক ইউপি সদস্য ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন আ’লীগ ও কমিউনিটি পুলিশিং এর ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ রহমান হাওলাদারসহ ২ জন, অপর আসামিরা এখনো অধরাই রয়ে গেছেন।
মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, মামলার প্রধান আসামিরা তাঁর মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায় সময়ই উত্ত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিতো। এক পর্যায়ে তারা মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় তেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানায়, মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার হলেও অপর আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। আসামিদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ভুক্তভোগী পরিবারটিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। তাই অপর আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আল আমিন নাইম জানান,থানায় মামলা হওয়ার ৭দিনের মধ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছি। অপর আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদী মেয়ের বাবা আরো বলেন,আমি থানায় মামলা করার পড়ে তারা থানায় হাজির হইলে আমি মেয়েকে কোর্টের মাধ্যমে নিয়ে আসি।