নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের আলোচিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে হত্যাচেষ্টাসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ৩৩ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত । রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে কমলনগর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) আদালতের বিচারক জুয়েল দেব তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এতথ্য নিশ্চিত করেন।
যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন-রাকিবুল হাসান বিপ্লব, গিয়াস উদ্দিন রুবেল, আবদুল কাদের, আবদুল লতিফ মন্টু, শাহাদাত হোসেন, আলাউদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, নুরুল আমিন, আবুল কালাম, আবদুল মালেক, খোকন, আবদুল আলিম, জসিম, সবুজ, বাবুল, শাহজাহান, মো. মাকসুদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, রুবেল, আবদুল বাতেন ভূঁইয়া, আবু জাফর ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম, হারুন, মোসলেহ উদ্দিন, রুবেল হোসেন, আজগর, মিরাজ হোসেন, আবদুল মতিন, নুরুল আমিন, কামাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন, হেলাল উদ্দিন ও নাসির মেম্বার। তারা কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মী।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু সাংগঠনিক কাজে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারের উদ্দেশে গাড়ি বহরযোগে যাচ্ছিলেন। পথে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
এতে পিংকু গাড়ি থেকে নামামাত্র তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তবে তিনি সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। তার প্রাডো গাড়ির চারপাশ ভাঙচুরে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।হামলায় পিংকুসহ অন্তত আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ রতনসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা সবাই স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমেদ রতনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ঘটনার পর পরই পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এএইচএম আহসান উল্লাহ হিরনসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।