আরিফ হোসেন :
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বদরপুর গ্রামের গৃহবধু শান্তার দুই স্বামী । এনিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। পাসপোর্ট করতে গিয়ে ধরা পড়ে প্রতারনার এমন চিত্র । আর এই ঘটনাটি ধামাচাপাদিতে একচি প্রতারক চক্র উঠে পড়ে লেগেছে।
সোমবার (২ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আশোক মুন্সি বাড়ির বেল্লাল হোসেনের মেয়ে জান্নাত আক্তার শান্তার পাশবর্তি বদরপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের পুত্র আমির হোসেন সুজনের সাথে ২০১৭ সালেপা রিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরে দম্পত্তির সংসারে এক ছেলে সন্তান জম্ম হয়।
অপরদিকে ২০১৬ সালে ২০ই জুন মাসে জান্নাত আক্তার শান্তার সাথে গাজীপুর গ্রামের জয়নাধন শীলের ছেলে শুভ এর বিয়ে হয়েছে এমন একটি কাবিন নামা নিয়ে ধ্রুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যায় ওই কাবিননামায় উল্লেখিত তারিখেই শুভ চন্দ্রশীল আইনজীবির মাধ্যমে নোটারী পাবলিকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে এবং একই দিনেই ৫লক্ষ টাকা দেনমোহরে জান্নাতকে বিয়ে করে।
গৃহ বধুর এক স্বামী আমির হোসেন সুজনকে না পেয়ে তার পিতা নুর মোহাম্মদ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পুত্রবধু জান্নাত আক্তার শান্তা কালিকাপুর দেওয়ান বাজার নাপিত জয়নাধনশীলের ছেলে শুভ চন্দ্র শীলকে বিয়ে করে বিদেশ যেতে পাসর্পোট করতে দেয়। পাসর্পোটে স্বামীর নাম শুভদিলেও সন্তানের বাবার নাম আমারছেলের নাম আমির হোসেন সুজন দেয় এতেপাসপোর্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা এলাকাতে তদন্তে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি বসু বাজার এলাকার সজিব নামের এক দালালকে দেড় লক্ষ টাকা শুভ পাঠিয়েছে। সজিব জান্নাত এবং তার সন্তানকে পাসর্পোট করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়।
আরেক স্বামী শুভ চন্দ্র শীলের পিতা জয়নাধন শীল বলেন,আমার ছেলে বিদেশ থাকাবস্থায় জান্নাতের সাথে সম্পর্ক। সম্পর্ক থাকাবস্থায় আমাকে একবার ফোন দিয়ে জান্নাতকে টাকা দিতে বলে। ছেলের কথা মতো জান্নাতকে টাকাও দিয়েছি।
এর পর আমার ছেলে ২০২০ সালে বিদেশ থেকে আসার পরে হিন্দু ধর্মানুসারে বিয়েকরে আবার বিদেশ যায়। এখন লোকের মুখে মুখে শুনি মুসলিম গৃহকধুকে আমার ছেলে বিয়ে করেছে। তবে এলাকাতে প্রচার হওয়ার পর থেকে আমার ছেলের মোবাইল বন্ধ।
এব্যাপারে গৃহবধু জান্নাত আক্তার শান্তা বলেন, বিদেশ থাকাবস্থায় শুভ এর সাথে আমার ফেকবুকে পরিচয়হয়। ২০২০ সালে বিদেশ থেকে দেশে এসে আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে যায় এবং আমাকে বিদেশ নিবে বলে কাগজে স্বাক্ষর নেয়। শুভ বিদেশ ফিরেযাওয়ার পরে আমি পাসপোর্ট করতে দিলে ঝামেলা শুরু হয়। তবে শুভ এর কথামতোই বাসু বাজার এলাকার সজিবের কাছে কাগজপত্র দিয়েছি।
করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব বলেন, ঘটনাটি লোকের মুখে শুনেছি। এই ধরনে ঘটনা বিচার গ্রাম্য আদালতের এখতিয়ারে নেই ।