নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারের দেওয়া ঘর পেতে শত চেষ্টা করেও একটি ঘর পায়নি লক্ষ্মীপুরের বিদবা বীনা রানী দাস। আর এ ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন কাটছে কুমারী মেয়ে সুমি রানী দাসকে নিয়ে।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্ছানগরের শাঁখারী পাড়ার ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত নিত্য নন্দ দাসের স্ত্রী বীনা রানী দাস। ১৭ মার্চ ২০০৬ সালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় নিত্য নন্দ দাস।
সোমবার (৫ জুলাই) সকালে আমারা কয়েক জন গণমাধ্যম কর্মী সরেজমিনে খোঁজ নিতে গিয়ে যা দেখলাম, সামান্য কিছু কাগজ ও নষ্ট হওয়া নাম মাত্র টিন (যার মধ্যে রয়েছে হাজারো ছিদ্র) টাঙ্গিয়ে বসবাস করছে মা-মেয়ে। সামান্য বৃস্টি হলে ঐ চালার ভেতর পনির স্রোত বয়ে যায় ।
জানতে চাইলে বিদবা বিনা রানী দাস বলেন, স্বমী মৃত্যুর সময় আমাকে একটি ঘর পর্যন্ত দিয়ে যেতে পারেনি। সেই থেকে মেয়ে সুমি রানী দাসকে নিয়ে কোন মতে দুঃখ-কষ্টে জীবন যাপন করে আসছি।
রানী দাস বলেন, সরকারের দেওয়া ঘরের খবর জেনে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর উত্তমের নিকট গিয়ে দরখাস্ত দেয় একটি ঘরের জন্য কিন্তু অনেকে পেলেও আমি পাইনি । পরে লোক মাধ্যমে জানতে পারি সরকারী ভাবে অসহায় দের মাঝে টিন দেওয়া হয়। কোন রকম মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়ার জন্য টিন পেতে উপজেলা নিরবাহী অফিসার বরাবর দরখাস্ত দেই কিন্তু আর পাওয়া হলো না।
রানী দাস গনমাধ্যম কর্মী দের কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আপনারা দেখুন এখন বর্ষাকালীন সময় আমাদের অনেক কষ্টে রাত দিন কাটাতে হয়। যে রাতে বৃষ্টি হয় সে রাতে আর আমারা ঘুমাতে পারিনা। তাছাড়া একটি বিবাহযোগ্য মেয়ে নিয়ে কিভাবে একজ মা এধরনের বসত ঘরে ঘুমাবে ? আমি নিরাপত্তাহীনতায় আর দুঃচিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাই।
তার দাবী, বর্তমান সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী গরীব অসহায় এবং দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে ঘর বিতরন করছে । আমাকে একটি ঘর দিলে আমার মেয়েটিকে বিবাহ দেয়া সহজ হবে । আমি বাকী কয়টা দিন ভালো ভাবে কাটাতে পারবো । ঘর পেলে সৃস্টিকর্তার কাছে সরকারের জন্য দোয়া করবো।