পঞ্চগড় সংবাদদাত :
দেশজুড়ে করনার উচ্চসংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে পালিত হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। এসময় জেলার সড়কগুলোতে ছিল না মানুষের সমাগম। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে জেলা শহরের সব দোকানপাট ও শপিংমল ছিল বন্ধ। ফাঁকা মহাসড়কে কোনো গণপরিহন চোখে পড়েনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা খাকলেও ক্রেতার অভাবে অলস সময় পার করেছেন দোকানদাররা। রিকশা-ভ্যানগাড়ি ও মোটরবাইক চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম। তবে বিধিনিষেধে আয় বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে-খাওয়া মানুষরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ দল শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছে। জেলা শহরের চারটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কাউটের সদস্যদরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এর আগে বুধবার (৩০ জুন) জেলায় ২৬ জনের অ্যান্টিজেন টেস্টে নমুনা পরীক্ষায় করে আরও ১৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বুধবার দিবাগত রাতে বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ জনে দাঁড়ালো।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৪৫ জন। বর্তমানে আক্রান্ত বা আইসোলেশনে আছেন ২২৬ জন। এদের মধ্যে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ছয় করোনা রোগী।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দিবাগত রাতে বোদা উপজেলার সাকোয়ায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। জেলায় গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা আক্রান্তদের জন্য এখন পর্যন্ত জেলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে।’