বিশেষ সংবাদদা
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করায় পাষন্ড স্বামী শিপন আহমদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৫ জুলাই (সোমবার) দুপুরে শিপন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বড়লেখা সিনিয়র বিচারিক হাকিম হরিদাস কুমার এর আদালতে।
শিপন আদালতকে জানিয়েছে, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রী রহিমার সঙ্গে প্রায় তার ঝগড়া-বিবাদ হতো। এতে তিনি তাকে মারধর করতেন। এ কারণে সাত মাস আগে রহিমা একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি হরিপুর গ্রামে চলে যান। সন্তানকে দেখতে তিনি প্রায়ই শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন।
গত শনিবার (৩ জুলাই) রাতে তিনি তার সন্তানকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে যান। পরে সেখানে রাত্রিযাপন করেন। রবিবার (৪ জুলাই) ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় রহিমা বেগমের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তিনি পালিয়ে যায়।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, “আদালতে রহিমার স্বামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি কি কারণে স্ত্রী রহিমার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন, সেসব বর্ণনা দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
এদিকে অগ্নিদগ্ধ রহিমা বেগমকে রবিবার (০৪ জুলাই) রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
“রহিমা বেগমের অবস্থা আশঙ্কা জনক, তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন তার হাত-মুখসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।” কান্নজড়িত কন্ঠে তার ভাই রাজু আহমদ গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা গুলো বলেন,
ঘটনার দিনই রাজু আহমদ বাদী হয়ে বোন জামাই শিপন আহমদসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে বড়লেখা থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ওই ঘটনায় উপজেলার পশ্চিম হাতলিয়া এলাকা থেকে শিপনকে এবং বিকেলে রহিমার শ্বাশুড়ি আনুরি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।