সময়ের নুর ডেস্ক :
করোনাভাইরাসেরৃঙ সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে সারাদেশ কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় রাজধানী ঢাকা ছেড়ে বাড়ি ফিরছে হাজারো মানুষ। ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া বেড়েছে মানুষের চাপ। এদিকে ঘাটে নেমেই গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের।
শনিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টায় দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিজিত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রীদের পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে ফেরিতে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে আসতে দেখা যায়। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে এসে গণপরিহণ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। পড়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এদিকে দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকেও যাত্রীরা নদী পার হয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। তবে ঘাটে ছোট গাড়ির চাপ থাকলেও নেই কোনো সিরিয়াল। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
যাত্রী একজ বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে কাজ বন্ধ ও এর পরিসর বাড়তে পারে বলে আগেই পরিবার নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। তবে মানিকগঞ্জে লকডাউন চলায় অনেক কষ্টে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পাটুরিয়ায় এসে নদী পার হয়েছি।। কিন্তু রাজবাড়ীতে চলছে লকডাউন। ফলে গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছি। বিভিন্ন বাহনে চলাচল করায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।’
অপর আরেক যাত্রী বলেন, ‘ঢাকায় হকারের ব্যবসা করতেন। কঠোর লকডাউনে সব বন্ধ থাকবে। আর কাজ না থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই ঢাকা ছাড়ছি। তবে গণপরিবহণ না থাকায় পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফিরোজ খান বলেন, ‘বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে কোনো চাপ নেই। তবে ঘরেমুখো যাত্রীদের কিছুটা চাপ দেখা যাচ্ছে।’
এ ছাড়াও, রাজবাড়ীতে শনিবার পঞ্চমদিনের মতো ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। তবে বিভিন্ন অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ। খোলা রয়েছে জরুরি সেবার দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ।