রাকিব হোসেন ( নিজস্ব প্রতিনিধ ) :
ঘুর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতো দুদিন (২৫মে এবং ২৬মে) দৈনিক একাধিক জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হয়। স্বাভাবিকের চেয়েও প্রায় চার থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ার বইছে। রামগতি উপজেলার চর গোসাই, বিবিরহাট, রঘুনাথ, চরআলগী, চর মেহার, রামদয়াল, নুরীয়া হাজীরহাট রাস্তার মাথা, রামগতি পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড, আসলপাড়া, মুন্সিরহাট, বালুর চর,জনতা বাজার,চর বালুয়া,সবুজ গ্রাম, বাংলাবাজারসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কমলনগর উপজেলার লুধুয়া, মাতাব্বরহাট, ফলকন, পাটারীরহাট, সাহেবেরহাট, লরেঞ্চ, মতিরহাটসহ একাধিক এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্য সময়ের তুলনায় স্থান ভেদে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বইছে।
মেঘনা উপকূলে বেড়ীবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। অতিরিক্ত জোয়ারের পানির কারনে উপকূল তীরবর্তী মাছের ঘের, প্রজেক্ট, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট, ফসলি ভূমিসহ বিস্তীর্ন এলাকা সমূহ। সব মিলিয়ে যতদুর চোখ যায় পানি আর পানি।উত্তাল মেঘনায় বিভিষিকাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট। পানিবন্দি মানুষজন নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদে স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন।
মুন্সিরহাট এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো: ইমাম হোসেন জানান, অন্য সময়ের তুলনায় এবারের জোয়ার অস্বাভাবিক। অন্য সময় দোকানে পানি না উঠলেও এবার পানি উঠে মালামালের ক্ষতি সাধন হয়েছে। কোন মতে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে। এলাকার প্রায় সব বাড়ি ঘরই পানিতে ভর্তি।
জনতা বাজার,বালুর চর এলাকার বাসিন্দা, জনতা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল মতিন বলেন,আমাদের পক্ষে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন করছি আমাদের জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ তৈরির ব্যবস্থা করুন।
বিবিরহাট এলাকার মনির উদ্দিন জানান, জোয়ারের পানিতে ভীষন কষ্টে আছি। প্রায় সময়ই জোয়ারের পানিতে কষ্ট করতে হয়েছে। এবার তো পানিতে ঘরে থাকাটাই দায় হয়ে উঠছে।
রামগতি পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুঠোফোনে বলেন রামগতি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে আমার বাড়ি।এ ওয়ার্ড টি নদীর সন্নিকটে। বেঁড়ি বাঁধ না থাকাতে ৬ এবং ৭ নং ওয়ার্ডের মানুষরা জোয়ার উঠলে আর ঘরে থাকতে পারে না।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবদুল মোমেন জানান, জেলা প্রসাশকের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে প্লাবিত এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।