নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নিহত রহিমার স্বামী আবু তাহের বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত তাহমিনাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুত্রবধূ তাহমিনা ও শাশুড়ি রহিমা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। এতে তারা একই ঘরে থাকলেও আলাদা রান্না করতেন। আলাদা খেতেন। এসব নিয়ে তাদের ঝগড়া লেগেই থাকতো। প্রবাসী ছেলে হুমায়ুন কবির (তাহমিনার স্বামী) বাবা-মায়ের জন্য টাকা পাঠাতেন না। এতে জীবীকার তাগিদে বাধ্য হয়ে বৃদ্ধ বয়সে আবু তাহের ঢাকার একটি বেকারিতে চাকরি নেন।
প্রতিদিনকার মতো বুধবার রাতেও আনুমানিক ১০টার দিকে বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া হয়। সবদিনের মতো কলহ ভেবে কেউই ঘটনাটি পাত্তা দেয়নি। বৃহস্পতিবার ভোরে নিস্তব্ধতা ও বসতঘরের দরজা বন্ধ থাকায় বাড়ির লোকজনের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়। এতে ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর তাকালে দেখা যায় রহিমা বেগম খাটে ও তাহমিনা মেঝেতে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে রহিমা বেগমের মরদেহ ও অচেতন অবস্থায় তাহমিনাকে উদ্ধার করে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রহিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মূল ঘটনা বলা যাবে।’