বিশেষ প্রতিবেদক :
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাইস্কুলের সামনে লকডাউন চলাকালে রোববার (১৯ এপ্রিল) সকালে পুলিশের সঙ্গে এক যুবকের বাগ্বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এর ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। এ ঘটনায় এস আই যশোমন্তে কে ক্লোজ ও অপর দুই পুলিশ সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে।
৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, মাস্কবিহীন এক যুবক রিকশাযোগে শহরের উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। ফেনী মডেল স্কুলের সামনে মডেল থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা রিকশার গতি রোধ করেন। কেন তাঁর গতি রোধ করা হলো, এ কথা জানতে চেয়ে ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘অন্য রিকশা ছেড়ে দিছস। আমার রিকশা কেন ধরা হয়েছে?’ এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে রিকশা থেকে জোরপূর্বক নামান।
এতে ওই যুবক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে গালমন্দ করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাঁকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলে ওই যুবক কেন তাঁকে পাগল বলা হলো, তার কারণ জানতে চান। পুলিশ তাঁর হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে চার পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
তখন ওই যুবক বারবার বলতে থাকেন, ‘এ দেশ কি পুলিশের দেশ?’ এ সময় হাতকড়া লাগাতে না পেরে এক পুলিশ সদস্য তাঁকে পিঠমোড়া করে রাস্তায় চেপে ধরলে সড়কের আশপাশে থাকা লোকজন উচ্চ স্বরে হইচই করতে থাকেন। হাতকড়া লাগানোর পর ওই যুবক দাঁড়িয়ে পুলিশকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই যুবকের নাম শহীদ (৩২)। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের ভূঞাঁরহাট এলাকার বাসিন্দা।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, থানায় নেওয়ার পর জানা গেছে, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কিছুদিন পরপর ভাইরাল হতে চান। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না মর্মে মুচলেকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে গতকাল এ যুবককে শহরের একটি মাদাকাসক্তি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
ঘটনাটি ফেনীতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।