বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়ন থেকে এক মাদরাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে প্রেমিক রায়হানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শুক্রবার( ২০ মার্চ ) সকাল ১১টার দিকে মাইজদী রেললাইনের পাশে একটি ব্যাচেলর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কিশোরী স্থানীয় এক মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আটক রায়হান বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খানপুর গ্রামের ডা. আবদুল মোতালেবের ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, চরমটুয়া ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাকিব ও রায়হান উদয় সাধুর হাট বাজার থেকে মাদরাসাছাত্রীকে অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা মাইজদী বাজারের রেললাইনের পাশে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে প্রেমিক রায়হানসহ একাধিক তরুণ মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
সকাল ১১টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী কৌশলে তার বড় বোনকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। সে ফোনে বলে ‘আপু আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমারে এখান থেকে নিয়ে যা। আমি মাইজদীর আশে পাশে আছি। তবে একবারে সঠিকভাবে বলতে পারবোনা কোথায় আছি। আমি পরে তোদের সব বলব।’
এরপরেই ধর্ষণকারীরা নির্যাতিতা কিশোরীর ফোন বন্ধ করে দেয় এবং ধর্ষণ শেষে তাকে বেধড়ক মারধর করে।
দুপুর দেড়টার দিকে অভিযুক্ত রায়হান ওই কিশোরীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে ওই কিশোরীর মরদে রেখে তিনি পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতাল থেকে নিহতের স্বজনেরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সুধারাম থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন জানান, পরিবারের লোকজন ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ করেছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এবং রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।