নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় পাপুলের হারানো আসনে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ ফায়িজ উদ্দিন শিপনসহ দুপক্ষের অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শহরের ওয়েলকাম চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকেল পর্যন্ত সেখানে উত্তেজনা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
হামলার শিকার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ ফায়িজ উদ্দিন শিপন দাবি করেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম আর মাসুদ, আনোয়ার হোসেন বাহার ও আরিফ পরিকল্পিতভাবে তার নেতাকর্মীদের মারধর করে। তবে এ ব্যাপারে এম আর মাসুদ সংঘর্ষের জন্য শিপন ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন।
আগামী ১১ এপ্রিল ওই আসনে উপনির্বাচন। কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এ আসনের এমপি ছিলেন। আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে তফসিল দেওয়ায় সেখানে জাপার মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন মাসুদ ও শিপন। তারা আলাদাভাবে তদবিরও চালাচ্ছেন। এছাড়া নোয়াখালী জেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠুও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
জেলা জাতীয় পার্টির পূর্ব নির্ধারিত সাংগঠনিক সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জাপা নেতা আলমগীর শিকদার, নাজমা রহমান এমপি, ইলিয়াছ আহমদ ও জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। উদ্ভুত পরিস্থিতির পর কয়েকজন নেতাকে ঘটনাস্থলে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা মুক্ত হন।
রেস্টুরেন্টের মালিক মো. ইউসুফ জানিয়েছেন, জাপা নেতা মাসুদ সভা করার জন্য বুকিং নিয়েছিলেন। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ঘটনার সময় ভেতরে ও বাহিরে ভাংচুর করেছে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জরিমানার জন্য একটি ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে রাখা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।