বিশেষ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবিএম জিলানীর প্রচারণার মাইক ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় হামলাকারীরা প্রচারকারী শাকিলের মোবাইলফোন ও পকেটে থাকা টাকা নিয়ে যায় ।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রায়পুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আজ বিকেলে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধুপুর এলাকায় বিএনপির প্রচারণার মাইক ভেঙে ফেলে নৌকার সমর্থকরা।
রাতে মাইক্রোবাস ও অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকার সমর্থকরা পশ্চিম মধুপুর এলাকায় বিএনপির সমর্থক কালুর দোকানে যায়। এসময় কালুকে না পেয়ে তার ছেলে আবদুল মান্নানকে মারধর করে। একই এলাকায় বিএনপির আরও এক সমর্থক বিল্লালকেও মারধর করেছে নৌকার লোকজন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমাদের প্রচার মাইক ভেঙে ফেলেছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে আমরা নির্বাচন কমিশন ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।’
এ দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। কোনভাবেই কারো ক্ষতি করছি না। হামলার ঘটনা সত্য নয়। তারা আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। নির্বাচনী এলাকায় ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্বে রয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রার্থীকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, ২৮ ফেব্রুয়ারি রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে নৌকা ও ধানের শীষসহ ৫ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকার প্রার্থীর রুবেল ভাট কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। ধানের শীষের এবিএম জিলানী রায়পুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক দুইবারের মেয়র।