1. rajubdnews@gmail.com : Somoyer Nur : Somoyer Nur
  2. abdunnur9051@gmail.com : SomoyerNur : Abdun Nur
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম
রায়পুর-পানপাড়া সড়কে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাই | সময়ের নুর ডট কম রামগঞ্জে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বিক্রি, ৪ ব্যবসায়ীর জরিমানা | সময়ের নুর ডট কম বেগমগঞ্জ গুলি, ওয়ান শুটারগানসহ গ্রেফতার-৩ | সময়ের নুর ডট কম রামগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশা চালকের মৃত্যু, তিনজন গ্রেপ্তার করে | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে রিকশাচালককে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে দুলাভাইকে বাঁচাতে গিয়ে শ্যালকও মারা গেলেন | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে পুলিশের পৃথক দু’টি মামলায় বি এন পির ৯ নেতাকর্মী কারাগারে | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুর বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ | সময়ের নুর ডট কম শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই দেশে দুর্নীতি কমে যাবে: দুদক ডিজি | সময়ের নুর ডট কম

শিক্ষা বর্ষের সময় বাড়িয়েই শিক্ষার ক্ষতি পূরন করতে হবে

প্রতিনিধি'র নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৫০ বার পঠিত হয়েছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে নিষ্ঠুর থাবা বিরাজমান করোনা ভাইরাসের। একদিকে প্রতিদিনই যেখানে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঝরছে  অসংখ্য প্রাণ।মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থ হওয়ার  হার ওঠানামা করলেও স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি এখন ও  অনিশ্চিত। আজ১৮ ই সেপ্টেম্বর  শুক্র বার  পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৪ জন।সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪১২ জন।মৃত্যু হয়েছে  ৪৮৫৯ জনের। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় মারা যাচ্ছেন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন। এসব পরিসংখ্যান দেশে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতির কোনো ইঙ্গিত দেয় না;  বরং যেভাবে করোনাভীতি জয় করে আমরা মাঠে-ময়দানে অলিতে গলিতে অবাধে বিচরণ করছি, তাতে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ।সংক্রমণ বাড়লেও  আশার আলো দেখাচ্ছে প্রতিনিয়ত সুস্থতার হার। তথাপিও প্রতিকূল  অবস্থায় সময় কাটাচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক,ইবতেদায়ী, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক,দাখিল, উচ্চমাধ্যমিক,আলিম ও উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থী সহ সব  মিলিয়ে  প্রায় ৪কোটি শিক্ষার্থী ।তাদের অধিকাংশই ঘরে বসেই  শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা  করছে ।করোনা  পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ও  আমাদের কলকারখানা, অফিস-আদালত, হাটবাজার, দোকানপাট,ব্যবসা- বানিজ্য, ফুটপাত,রেস্টুরেন্ট, পার্ক,নূরানি মাদ্রাসা,কওমী মাদ্রাসা, মসজিদসহ  সব খোলা। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর গণপরিবহন ,লঞ্চ, ট্রেনও এখন স্বাভাবিক। অর্থনীতির চাকা ও স্বাভাবিক।বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থ বছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৬ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ধরে), যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫১ কোটি ৯২ লাখ ডলার বা ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর দিন শেষে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ১৫ বিলিয়ন বা তিন হাজার ৯১৫ কোটি ডলারে।শুধু চালু হয়নি স্কুল -কলেজ-আলিয়া মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ।কওমী ও নূরানি মাদ্রাসা ছাড়া  ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ভোগ করবে তার ঘোষনা ইতোমধ্যে স্পস্ট।একদেশে দুই নীতি মোটেই মঙ্গল জনক কিনা তা ভাবনার বিষয়।
বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আসা বন্ধ হলে কিংবা গার্মেন্টস, শিল্প-কল কারখানা বন্ধ  হলে তার ক্ষতি সহজেই লক্ষনীয় এবং তা  পরিমাপ ও  করা যায়।  দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে গোটা জাতির যে শিকড় নষ্ট হয়  সে  অপূরণীয় ক্ষতি চোখে দেখা  না গেলে ও তা যে অতি ভয়ংকর  সেটি মানতেই হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থার কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন কার্যক্রম আরো ফলপ্রসূ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
 ইউজিসি তথ্যমতে , বর্তমানে ৬৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্য়ক্রম চলছে। এর মধ্যে ৫৬টি বেসরকারি ও বাকি সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের হার ছিল ৬০-৭০%। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ও অনলাইন ক্লাস চলছে।তবে অনভ্যস্ত এই ক্লাসের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ অনেক কম।বিকল্প চিন্তায় কিন্তু মনে রাখতে হবে আজকের শিক্ষার্থীদের  ভেতর থেকেই মেধাবীরা কিছুকাল পরেই  শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবে। তাদের ভিত্তি যদি অটো প্রমোশন,সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষার মাধ্যমে হয় কিংবা লোক দেখানো সমাধানের ভিত্তিতে হয় তাহলে   জাতির ভিত্তি কখনোই  শক্ত হতে পারবে না নিশ্চিত।তাই শিক্ষা বর্ষের সময় বাড়িয়েই জাতিকে সঠিক শিক্ষা দানই হবে উপযুক্ত সমাধান
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণ অপরিহার্য তা ঠিক আছে কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বাদ দিয়ে  পরীক্ষা এটি গ্রহনযোগ্য নয়।  শুধু শিক্ষা মন্ত্রনালয় ভীতিকর, প্রাণহীন পাবলিক  পরিক্ষার চিন্তা করলেই হবে না ,বরং অভিজ্ঞ শিক্ষক ন্ডলী ,উপযোগী যোগ্য শিক্ষক সংগঠনের সাথে পরামর্শ করে আনন্দময় সঠিক বিদ্যার্জনকেই প্রধান্য দেওয়া অতিব জরুরি বোধ করি।
 বিদ্যাশিক্ষায় শর্টকাট পথ বলে কিছু নেই।এটি বিদ্যার্জনে প্রধান বাধা ও বটে।অনলাইনে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্লাস নিচ্ছে,এটি খারাপ নয়।কিন্তু নতুন ধারার অনভ্যস্ত এই নীতি শিশু শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।অন্যদিকে প্রযুক্তির প্রভাব এখনো গ্রামে তেমন পৌঁছেনি।অর্ধেককের ও বেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে টেলিভিশন,স্মার্টফোন  এবং  ইন্টারনেট সুবিধা নাই।সকলের সুবিধা নিশ্চিত না করেই নূন্যতম দৃশ্যমান অঞ্চলে এই সুবিধা থাকলে ও সেটি বিবেচনায়  পরীক্ষা নেওয়া নিতান্তই বোকামি।তাই সংক্ষিপ্ত   সিলেবাসে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে  শিক্ষাবর্ষের সময় বাড়িয়ে সিলেবাস শেষ করাই যুক্তি সংগত। সাথে সাথে বাতিলকৃত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার  ও সময় ঠিক করে নেওয়াই যুক্তি সংগত।  সময় লস হোক কিন্তু বিদ্যা অর্জন ও মূল্যায়নের পথটা মসৃন হওয়া অতিব জরুরি।
সম্প্রতি এক পলিসি ব্রিফের মাধ্যমে ইউনেস্কো  জানিয়েছে, করোনার কারণে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪৩ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত। এ ছাড়া ২ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।’ (বণিক বার্তা, ২৪ আগস্ট) ।বিদ্যাশিক্ষায় শর্টকাট পথ একটি অভিশাপ।অনভ্যস্ত দূরশিক্ষন পদ্ধতি, অনলাইন পাঠদান,  অনলাইনে, রেডিও, টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া সামান্য উপকার আনলেও শ্রেণী কক্ষ নির্ভর শিক্ষার কাছে তা কিছুই নয়।দেশের অর্ধেক দরিদ্র শিক্ষার্থীদের  বাড়িতে যেখানে  টিভিই  নেই, ইন্টারনেট সংযোগ সেখানে অক্ল্পনীয়।
 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান  জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, এই মহামারী বিদায় করতে বিশ্ববাসীর আরো দুই বছর লাগতে পারে। এদিকে করোনা জয় করতে না পারলেও আমরা করোনা ভীতি জয় করেছি ঠিকই।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, করোনার ভ্যাকসিন দরকারই হবে না, তার আগেই এই মহামারী বিদায় নেবে। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি এখনো আসেনি।
এমতাবস্থায়  বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে কি না সে বিষয়ে পক্ষে- বিপক্ষে মতামত চলছেই । প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়  প্রায় ৪ কোটি  শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের এক দিকে যেমনি  মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।তেমনই স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা  খুলে দিলে  শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হবে কি না সেই শঙ্কাও কাজ করছে সরকারের মাঝে। স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খোলার বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম হোসেন জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায়  ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বেড়েছে।  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নানা মত থাকলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় কালে ও বাংলাদেশের চট্রগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর  ব্যপক প্রভাব পড়ে।ঐ সময় কালে ১৯৪২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত সকল বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়।লাইব্রেরী তালাবদ্ধ হয়,কমন রুম নিষিদ্ধ হয়,বইয়ের আলমারি বন্ধ হয়ে যায়।হাজারো শিক্ষার্থী পড়ালেখা থেকে ঝরে পড়ে।ঠিক করোনার মত শিক্ষা ব্যবস্থা বাড়িতেই সীমাবদ্ধ হয়।তখন পরীক্ষাই ছিল শিক্ষার মাধ্যম।তবে পরিক্ষা নেওয়ার আগে অবশ্যই বাড়িতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হত। তখন অটোপ্রমোশন যেমন ছিল না তেমনি ঝুঁকিতে বিদ্যালয় ও খোলা হয়নি।
’১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ও  এমন বিপর্যয় দেখা গিয়েছিল।তথাপিও সে সময় পাক সরকার  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রেখেছিল,এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জোর পূর্বক বিদ্যালয়ে যেতে বাধ্য ও করত ।কিন্তু এদেশের ছাত্র জনতা যুদ্ধে যোগদানের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। এবং যুদ্ধ পরবর্তী কালে অটো প্রমোশনে তারা পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন পায়।এটির কারন, একদিকে ছাত্র-ছাত্রী কম ছিল অন্যদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থা বিবেচনা করা।এখন কথা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের অটো-প্রমোশন দেয়া হবে, নাকি পরীক্ষা নেয়া হবে?
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং শিক্ষামন্ত্রী  বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা  খোলার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। তবে জেডিসি ও জেএসসি এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বাতিল হওয়ায় এইচ এস সি এবং আলিম পরীক্ষা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা এখনো কমেনি।এইচ এস সি এবং আলিম পরীক্ষা বাদ দেওয়া কোন মতেই মান সম্মত সিদ্ধান্ত হবেনা।কিন্তু একদিকে স্কুল-কলেজ-আলিয়া মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি বাড়লো ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অন্যদিকে  কওমী মাদ্রাসা খোলা এবং কওমি মাদরাসার উচ্চস্তরের পরীক্ষা (দাওরায়ে হাদিস) নেয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।তা সরকারি দুমুখো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বৈ আর কিছুই নয়।কওমি মাদরাসা খোলা থাকার সিদ্ধান্ত এবং  দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষার অনুমোদন দেয়ার পেছনে কী যুক্তি ছিল, তা  জানা যায়নি। তবে এটি সরকারের বর্তমান অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই মনে হয়।কারন করোনা হুজুর কিংবা স্যারদের আলাদা আলাদা চিনে বলে মনে হয় না।
মনে রাখা দরকার  করোনার কারনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার যত ক্ষতিই হয়ে থাকুক না কেন, পরীক্ষা না নিলে  সেই ক্ষতির ষোলোকলা পূর্ণ হবে শীঘ্রই। তাই শিক্ষা বর্ষের মেয়াদ তিন মাস কিংবা আর ও  বেশি সময় বাড়িয়ে  সে ক্ষতি কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফলে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য  শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরতে বাধ্য হবে এবং এ পর্যন্ত যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে মনোযোগী হবে । মনে রাখতে হবে
 স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের করোনা ঝুঁকিতে ফেলা যেমন ঠিক হবে না,বরং অন্যায় হবে, তেমনি পরীক্ষা না নিয়ে অটো-প্রমোশন দেয়াও তাদের নিজেদের জন্য এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য  ক্ষতিকর হবে সন্দেহ নাই।
ফিরোজ আলম,বিভাগীয় প্রধান,আয়েশা ( রা:) মহিলা অনার্স কামিল মাদ্রাসা, সদর, লক্ষীপুর।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক,কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটি এবং সাধারন সম্পাদক লক্ষীপুর জেলা শাখা,বিএমজিটিএ

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved SOMOYERNUR
Theme Customized BY LatestNews