1. rajubdnews@gmail.com : Somoyer Nur : Somoyer Nur
  2. abdunnur9051@gmail.com : SomoyerNur : Abdun Nur
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম
রায়পুর-পানপাড়া সড়কে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাই | সময়ের নুর ডট কম রামগঞ্জে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বিক্রি, ৪ ব্যবসায়ীর জরিমানা | সময়ের নুর ডট কম বেগমগঞ্জ গুলি, ওয়ান শুটারগানসহ গ্রেফতার-৩ | সময়ের নুর ডট কম রামগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশা চালকের মৃত্যু, তিনজন গ্রেপ্তার করে | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে রিকশাচালককে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে দুলাভাইকে বাঁচাতে গিয়ে শ্যালকও মারা গেলেন | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে পুলিশের পৃথক দু’টি মামলায় বি এন পির ৯ নেতাকর্মী কারাগারে | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুর বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ | সময়ের নুর ডট কম শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই দেশে দুর্নীতি কমে যাবে: দুদক ডিজি | সময়ের নুর ডট কম

অনিয়ম’ পেয়ে এবার সাহাবুদ্দিন মেডিকেল বন্ধ করল র‌্যাব

প্রতিনিধি'র নাম
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০
  • ১৩০ বার পঠিত হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক :

কো‌ভিড-১৯ পরীক্ষার ভুয়া সনদ দেওয়াসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকার গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে র‌্যাব।

রোববার (১৯ জুলাই) বিকালে ওই হাসপাতালে অভিযানে যায় র‌্যাব। হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডা.আবুল হাসনাতকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ রাতে অভিযান শেষে বলেন, তারা হাসপাতালটি বন্ধ করে দিচ্ছেন।

“রাত ১১টার দিকে  আমাদের অভিযান শেষ হয়েছে। এখন মামলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত গোছানো হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তা সিলগালা করবেন।”

কখন সিলগালা করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগী সরিয়ে নেওয়ার পর সিলগালা করে দেওয়া হবে।

অভিযানের সময় র‌্যাব হাসপাতা‌লের সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাতের পাশাপাশি স্টোর কিপার শাহরিজ কবিরকে ধরে র‌্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ৯ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান র‌্যাবের পরিচালক আশিক।

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষায় সরকার কর্তৃক র‌্যাপিড টেস্টের অনুমোদন না থাকলেও তারা সেটা করেছে। পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে, করোনাভাইরাস নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে, ভিন্ন ল্যাব থেকে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নিজেদের প্যাডে প্রতিবেদন দিয়েছে।

হাসপাতালটির লাইসেন্স এক বছর আগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তা নবায়ন করা হয়নি বলেও র‌্যাবের অভিযোগ।

এছাড়া হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে ১০ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী-ওষুধ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে র‌্যাব।

৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে এখন কত রোগী রয়েছে, তা জানা যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিকাল থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে র‌্যাবের অভিযান শেষে তি‌নি ব‌লেন, রাতে রোগী থাকা অবস্থায় এভাবে হাসপাতাল বন্ধ করা ঠিক হয়নি।

আর চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের নিন্দাও জানান তিনি।

সাহাবুদ্দিন এক সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে ২০১৯ সালে তিনি পদত্যাগ করে বিএনপি ছাড়েন।

অনুমোদন না নিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার অভিযোগ পেয়ে রোববার ঢাকার গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাতকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।
অনুমোদন না নিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার অভিযোগ পেয়ে রোববার ঢাকার গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাতকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হাসনাত আটকের সময় সাংবাদিকদের বলেন, যারা প্লাজমা দিচ্ছেন, শুধু তাদের নিয়ে কাজ করেছিলেন তারা। আর গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের র‌্যাপিড টেস্ট কিট তারা নিজেরাই এনে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করছিলেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাবের নির্বাহী হকিম সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, “তারা অন্য ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনা ফলাফল নিজেদের প্যাডে দিয়েছে, যা আইন বহির্ভূত।

“এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক অভিযোগ। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হচ্ছে।”

র‌্যাব পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, “হাসপাতালটিতে যে সব রোগী আছেন, তারা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তারা চলে যাওয়ার পর সিলগালা করে দেওয়া হবে।”

এছাড়া প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি গুছিয়ে মামলা করাও প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

 

অভিযোগের বিষয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সবটাই ঠিক নয়। আর র‌্যাব তাদের কাছে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজ দেখেনি।

সরকারের অনুমোদন ছাড়া র‌্যাপিড টেস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, “জীবন রক্ষার্থে ডাক্তাররা অনেক কিছু করে থাকেন। সেরকম কিছু হলে আইনিভাবে বিচার হবে।”

লাইসেন্স নবায়ন না করার প্রসঙ্গে সাহাবুদ্দিন বলেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে লাইসেন্স নবায়নের জন্য জমা দিতে একটু দেরি হয়েছে।”

অভিযানে র‌্যাব যে সব অভিযোগ এনেছে, সে সব বিষয়ে তিনি বলেন, “তদন্ত করলেই সব বের হবে। প্রয়োজনে শাস্তি মাথা পেতে নেব।”

রাত পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী ছিল জানিয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, “সকালে কী হবে, বুঝতে পারছি না।”

তিনি বলেন, “আমি নিজে জেলে যেতে রাজি আছি। অভিযানের পর থেকে কোথাও পালিয়ে যাইনি। অফিসেই আছি। তবে যেভাবে ডাক্তারকে ধরে নেওয়া হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। তার নি‌ন্দা জানাচ্ছি।”

“এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত সেবামূলক। আমার সমস্ত অর্জন শেষ হয়ে গেল,” বলেন তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved SOMOYERNUR
Theme Customized BY LatestNews