বিশেষ প্রতিবেদক :
মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রের ‘স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে aঅনির্দিষ্টকালের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিসহ চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন।
বুধবার (বুধবার) দুপুর দেড়টায় এফডিসির জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জায়েদকে বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে; আর মাস চারেক আগেই মিশা সওদাগরকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিল্পী-কলাকুশলীদের হয়রানি করা, চলচ্চিত্রের নীতিমালার বিরোধিতা করা, মিথ্যা মামলা দেওয়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে জায়েদ খানকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।
সংবাদ সম্মেলনের পর গুলজার গণমাধ্যম কদের জানান, চলচ্চিত্রের নীতিমালার বিরোধিতা করায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগেই মিশা সওদাগরকে ১৮ সংগঠন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে তোলা হয়নি।
২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খরচের জন্য প্রাপ্ত ৬ লাখ টাকা গ্রহণ করলেও এখনও কোনো হিসাব জমা দেননি বলে এ চিত্রনায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।
অভিযোগের বিষয়ে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
গুলজার বলেন, “এখন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের সঙ্গে কেউ কাজ করবেন না এবং তাদের সঙ্গে কেউ কাজে অংশগ্রহণও করবেন না।”
চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে ‘বয়কটের’ সিদ্ধান্ত ১৮ সংগঠনের
চলচ্চিত্রের নীতিমালা মেনে কাজে অস্বীকৃতি জানালে যে কাউকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, “তাদের নিয়ে কোনো পরিচালক কাজের উদ্যোগী হলে কিংবা কাজ করলে তাদের সমিতির সদস্যপদ থেকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক বহিষ্কার করা হবে।”
মঙ্গলবার বিকালে ১৮ সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে জায়েদকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রযোজক সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল।
সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি অমিত হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য ওমর সানিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার প্রযোজক সমিতির সদস্য জায়েদের বিরুদ্ধে ‘সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি।
প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম জানান, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে আনতে গত বছরের অক্টোবরে সব সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এটি বাস্তবায়ন হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা ব্যয় কমে আসবে।
“সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন মিশা ও জায়েদ খান। শিল্পী সমিতির সদস্যদের ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে এ সিদ্ধান্ত না মানতে উৎসাহিত করেছেন। যা চলচ্চিত্রের স্বার্থ-বিরোধী কর্মকাণ্ড।”
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে আছেন মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন জায়েদ খান।