শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়াসহ বিভিন্ন জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার পর এর মালিক মো, সাহেদকে এখন গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার(৭ জুলাই) রাতে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান সারোয়ার বিন কাশেম এই তথ্য জানিয়েছেন।
সারোয়ার বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে র্যাবের চারটি দল।
“শাহেদ দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন। এ ধরনের তথ্য আছে। আর সে অনুযায়ী বিমানবন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও তার ব্যাপারে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি যেন কোনোভাবেই দেশের বাইরে যেতে না পারেন। আমরা তাকেসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছি।”
এই হাসপাতালটি সরকারই করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করেলে ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় এবং মেয়াদপূর্তির পরও লাইসেন্স নবায়ন না করায় মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ।
তার আগের দিন উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়মের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিল র্যাব। তখন সাহেদ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
সোমবার অভিযানের সময় রিজেন্ট থেকে আট কর্মচারীকে ধরে এনেছিল র্যাব। মঙ্গলবার করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং মনিরুজ্জামান (২৩) নামে হাসপাতালের এক কর্মচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম।
র্যাব বিকালে হাসপাতালটি এবং পরে সন্ধ্যায় উত্তরার তাদের প্রধান অফিসটি সিলগালা করে দেয়।
