নাজমুস সাকিব :
লক্ষীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলে ফোনে চলছে জমজমাট লুডু ও তাশ জুয়া। এতে বিপথগামী হচ্ছে ছাত্র, যুবসমাজসহ নানা পেশার মানুষ।
বিগত বেশ কিছু দিন যাবৎ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে শহর সর্বত্র এ জুয়ার ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে। বর্তমানে লকডাউনের সময় স্কুল-কলেজ, দোকানপাট ও কর্মস্থল বন্ধ থাকায় অলস সময় কাটাতে জুয়ায় মেতেছেন অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড ছাড়াও উপজেলার মান্দারী, কুশাখালী, ভবানীগন্জ, উত্তর জয়পুর, লাহারকান্দী হাজিরপাড়া, পুকুরদিয়াসহ এসব এলাকার বিভিন্ন ছোট-বড় দোকান, খেলার মাঠ, স্কুল মাঠ বা গোপন কোনো ঘরে চলছে লুডু ও তাশ জুয়া। সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন এ জুয়া এখনই বন্ধ না করলে পরিণতি খারাপ হতেপারে।
বিশেষ করে যুব সমাজ বিপথগামী হচ্ছে, জুয়ার টাকা যোগান দিতে এদের মধ্যে অনেকেই চুরি ,ডাকাতি, হাইজ্যাক সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন সিনএনজি স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় চালকদেরে অনেকেই পাশের কোন দোকানে বসেই মোবাইলে এ লুডু বা তাশ জুয়া খেলেই দিন কাটিয়ে দেয় । দিন শেষে এরা কিভাবে মালিককে টাকা দেয় আর কিভাবেইবা চলে এদের পরিবার সে প্রশ্ন থেকেই যায় ।
বিশিষ্টজনেরা বলেন, মোবাইলে জুয়া বন্ধে প্রশাসন আর জন প্রতিনিধিদের যথাযথ ভূমিকার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সবাই যার যার জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুললে এটা প্রতিহত করা সম্ভব।
লক্ষীপুরের সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর অ্যান্ড্রয়েডফোন ব্যবহারে অনুমতি প্রদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন প্রণয়ন করে তা যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন ।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতা তরুণ প্রজন্মকে যেমন মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে প্রাণ সঞ্চার করছে তেমনি এর অপব্যবহার রোধকরতে না পারলে আমাদের তরুন ও যুব সমাজ বিকলঙ্গ সমাজে পরিনত হবে, যার দায়বার রাষ্টকেই নিতে হবে ।