সময়ের নুর ডেস্ক :
মোবাইল ফোন অপারেটর ‘গ্রামীণফোন’ ও ‘রবি’র কাছে অনুমোদন ছাড়াই নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কুরুচিপূর্ণ ও সেন্সরবিহীন ওয়েব সিরিজ প্রচারের ব্যাখ্যা চেয়ে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুন) জানানো হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রামীণফোন ও রবিকে ব্যাখ্যা চেয়ে কোম্পানি দুটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রতি ওয়েব সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন নগ্ন, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য, কাহিনী ও সংলাপ সংবলিত ভিডিও কন্টেন্ট ওয়েবে আপলোড করে প্রচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে, বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এতে দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে প্রচার করেছে এবং সমাজে এর ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ওয়েবে আপলোড এবং প্রচার করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান সরকারের কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত কিনা এবং থাকলে তা কি, তা সরকারের জানা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ওয়েব সিরিজের নামে ‘সেন্সরবিহীন অশালীন ভিডিও কন্টেন্ট’ আপলোড ও প্রচার করা দেশের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লংঘন ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থি। এ ধরনের সেন্সরবিহীন, নগ্ন ও অশালীন দৃশ্য, কাহিনী ও সংলাপ সংবলিত ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার দেশের প্রচলিত আইন যেমন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ এর ৬৯ ধারা, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ও ৮ ধারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর পেনাল কোড, ১৮৬০ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অশ্লীল দৃশ্যযুক্ত এসব ওয়েব সিরিজ সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণফোন ও রবি দুটি মোবাইল কোম্পানির দুটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে আপলোড করা এ ধরনের যে কনটেন্টগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ এসেছে, তা আমরা বিটিআরসিকে জানিয়েছি। এ ধরনের কনটেন্ট আপলোড করার আইনগত অনুমোদন আছে কি না সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি আইনগত অনুমোদন না থাকে তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর যদি আইনগত অনুমোদন থাকেও, ভিডিও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কনটেন্টগুলোর আইনভঙ্গ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুতরাং সরকার এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।