বিশেষ প্রতিবেদক :
‘উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দেশসেবায় উদ্দীপ্ত একটি দক্ষ জনবান্ধব জনপ্রশাসন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এবারের আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন দেশসেবায় উদ্দীপ্ত একটি দক্ষ জনবান্ধব জনপ্রশাসন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি দক্ষ, জনবান্ধব জনপ্রশাসনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ বছর তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছি। আমি আশা করি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা এসডিজিসহ আমাদের সকল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে অর্জন করতে সক্ষম হবো।’
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। জনবান্ধব জনপ্রশাসন তৈরির জন্য সরকারি সেবাপ্রদান সহজীকরণে অনন্য ও উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারীদের ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে ২০১৬ সাল থেকে ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ কার্যকর হয়েছে। এ আইনের ২৫ নম্বর ধারার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে সেবাপ্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। যদিও কোভিড-১৯ এর কারণে মহামারিতে বিশ্ব আজ নানাবিধ প্রতিকূলতার সম্মুখীন। আমাদের দেশও এর বাইরে নয়। তবে ২০০৯ সাল হতে রূপকল্প-২০২১ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণের ফলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।’
উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সরকারি সেবার অবদানকে তুলে ধরা, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ভালো কাজের স্বীকৃতি প্রদান এবং তরুণদের প্রজাতন্ত্রের কর্মকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর ২৩ জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন করা হয়।
এ বছর আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘আজকের কর্ম, আগামীকাল প্রভাব : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারি পরিষেবা এবং প্রতিষ্ঠানকে উদ্ভাবন ও রূপান্তর’। প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২০ এর সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।