নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাএলাকা থেকে চুরি যাওয়া গাভী ও বাছুরসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিষ ।
রোববার (৭ জুন) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠানো হয়। এরআগে সকালে পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
আটককৃতরা হলেন সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের মরণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে লক্ষণ চন্দ্র ঘোষ, রামগঞ্জ উপজেলার শেফালীপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে মো. করিম ও নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার আঁইছাপাড়া গ্রামের মো. সোহাগ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে লক্ষণ ও করিমকে চন্দ্রগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোনাইমুড়ি আঁইছাপাড়া গরুর খামার থেকে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া গরুগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ জুন) রাতে চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামের আমেরিকান প্রবাসী সিরাজ উদ্দিন সেলিমের বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে বাছুর সহ একটি গাভী চুরি হয়। শনিবার সেলিম গরু চুরির বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশকে অবিহিত করেন। চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু মুসা ও জাকির হোসেন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। রোববার ভোরে চন্দ্রগঞ্জ বাজার থেকে লক্ষণ ও করিমকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোনাইমুড়ি আঁইছাপাড়া থেকে চোরাই গরুসহ সোহাগকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে গরুর চুরির মামলা দায়ের করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্নস্থানে এরআগেও কয়েকটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি মান্দারী এলাকা থেকে ৪টি অষ্ট্রেলিয়ান জাতের গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। ওই ঘটনাও চন্দ্রগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি খামার মালিকের ভাই জাহিদুর রহিম। তবে ওইসব গরু এখনো উদ্ধার হয়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন জানান, চুরি হওয়া দুগ্ধজাত গাভী ও বাছুর উদ্ধার এবং চুরির ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত আরো একজনসহ বিভিন্নস্থানে গরু চুরির ঘটনায় চোরচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।