বিশেষ সংবাদদাতা :
চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে একই স্কুলের শিক্ষক নুরুজ্জামানের নামে মামলা হয়েছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানায় । পরে তাকে উপজেলার মাঝগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী এখন সন্তানসম্ভবা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, প্রায় ৬ মাস আগে স্কুল ছুটির পর চার সন্তানের জনক ওই শিক্ষক শিশুটিকে নানা কায়দায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন। কিছুদিন পর ভুক্তভোগী শিশুটি সন্তানসম্ভবা হয় বলে জানা যায়। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে জানালে উল্টে তাদেরই ভয়ভীতি দেখান শিক্ষক নুরুজ্জা -মান।
এক পর্যায়ে শনিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা নিজে বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পরে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
ওসি বলেন, বর্তমানে শিশুটি পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রবিবার ভুক্তভোগী শিশুকে সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হবে।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, দিনমুজুরি করে খাই। আমাদের কোন লোকজন নাই। শিক্ষক প্রভাবশালি হওয়ায় অনেকেই বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
চৌহালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজ জানিয়েছেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উদ্বোগ ও দুখঃজনক। দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।