নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নে ৮ দিন ধরে ত্রাণ বিলি করেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন। এই প্যানেল চেয়ারম্যান সংমিশ্রনে থাকা রামগতি উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল মোমিন, সহকারী মৎস কর্মকর্তা কামাল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রিয়াদ হেসেন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
আজ পহেলা মে (শুক্রবার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগতি উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল মোমিন। জানা যায়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা আসলে ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের নমুনাও সংগ্রহ করে।
গত (২৯ এপ্রিল) রাতে চরগাজী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে (২২ এপ্রিল) পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হয়। এই সময় তিনি ত্রাণ বিতরণ ও জনসমাগমে অংশ নেওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন।
করোনাভাইরাস পজিটিভ আসার আগে তিনি ইউনিয়নের সাড়ে ৩ হাজার জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেন। ওই ইউনিয়নের ৫০০ মানুষের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করেন। এই সময় তার সংস্পর্শে আসেন ইউনিয়নের মেম্বার, গ্রাম পুলিশসহ কয়েক শত সাধারণ মানুষ। এমনকি ২৯ তারিখ দুপুরে তিনি এবং রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মোমিন এক সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আমি জানতাম না। তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসার পর থেকে আমি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি। ইউনিয়নের সকল মেম্বার গ্রাম পুলিশ ও সচিবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাবো।
তিনি আরও বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান করোনা পজিটিভ আসার কারণে ওই ইউনিয়নের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। ওই ইউনিয়নে যারাই প্যানেল চেয়ারম্যানের সংস্পর্শে এসেছেন সকলকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য পরার্মশ দিয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহিম বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যানের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এরপর রামগতি উপজেলার ইউএনও, এসিল্যান্ড, থানার অফিসার ইনচার্জ ও হাসপাতালের আরএমও সহ ১০ থেকে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।