1. rajubdnews@gmail.com : Somoyer Nur : Somoyer Nur
  2. abdunnur9051@gmail.com : SomoyerNur : Abdun Nur
রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম
ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে স্ত্রী-সন্তানদের আটকে রেখে ঘরে আগুন, প্রাণ গেলো দুজনের | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে বিচারকের নির্দেশে কাঠগড়ায় আসামিকে থাপ্পড়! | সময়ের নুর ডট কম নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জে কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১ | সময়ের নুর ডট কম পূর্ব বিরোধের জেরে ‘লোক ভাড়া করে’ প্রতিবেশীর ঘরে ডাকাতি পুরোনো শীতের কাপড় ও লেপ-কম্বল ব্যবহারের আগে যা করবেন | সময়ের নুর ডট কম সাংবাদিকদের সাথে লক্ষ্মীপুর সদর-৩ আসনে আ.লীগের এমপি প্রার্থীর মতবিনিময় | সময়ের নুর ডট কম ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়নের সময়সূচি পেছালো | সময়ের নুর ডট কম রাজধানীতে ১০ দিনে গ্রেফতার ১৮৮৪ | সময়ের নুর ডট কম

কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে ঘরের সুরক্ষা কিভাবে নিশ্চিত করবেন

প্রতিনিধি'র নাম
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০
  • ২২৬ বার পঠিত হয়েছে

 

কোভিড-১৯, যা নভেল করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত, ইতিমধ্যে যা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাভাবে অতিরঞ্জিত খবর ছড়িয়ে পরার কারনে সবাই ভীষণ ভয়ে দিন পার করছেন। যদিও বুঝে কিংবা না বুঝে অধিকাংশ মানুষই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরছেন। কিন্তু এতোটা আতঙ্কিত না হলেই বরং পরিস্থিতি অনিকূলে থাকবে। ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আতঙ্কের চেয়ে সচেতনতাই অনেক বেশি কার্যকরী। ডব্লিউএইচও (WHO) এর মতো সংস্থাগুলো বলেছে, দ্রুত ছড়িয়ে পরার ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড-১৯ এর চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। সুতরাং, করোনা নিয়ে ভয় পাবার কিছু নেই। তবে সতর্কতা অবশ্যই প্রয়োজন। আর তাই, নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত করার জন্য এই কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত। করোনা ভাইরাস থেকে ঘরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, এই কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলেই আপনি করোনার আধিপত্য থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন। তবে তার আগে, করোনা সম্পর্কে সঠিক এবং ভুল তথ্য কোনটি সেটি আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে। যেমন, করোনা ভাইরাসকে নিয়ে ভুল একটি ধারণা হল, উষ্ণ জলবায়ুতে এই ভাইরাসটি টিকে থাকতে পারে না। এরকম ভুল তথ্যে আস্থা রাখা যাবে না। তথ্যের উৎস যাচাই বাছাই করে নিয়ে তবেই বিশ্বাস করবেন। এবার, তাহলে চলুন করোনা ভাইরাস থেকে ঘরের সুরক্ষা কিভাবে নিশ্চিত করবেন সে সম্বন্ধে জানা যাক!

পরিষ্কারক আইটেম :

সুরক্ষা এখন নিজেদের হাতেই
কমন স্পেসগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন
আমাদের ঘরের এমন কিছু জিনিস বা জায়গা আছে যেগুলো, সারাদিনে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেগুলোর প্রতি আপনাকে মনোযোগী হতে হবে। যেমন, টেবিল, ডাইনিং চেয়ার, ইলেকট্রিক সুইচ, টয়লেট, ডোর নবস, হ্যান্ডেল এবং রিমোট। সারা দিনে এই জিনিসগুলো ঘরের সবাই বার বার স্পর্শ করে থাকে। যার ফলে ঘরের এই সমস্ত জিনিসে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এইজন্য এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। খুবই ভালো ফলাফল হয় যদি দিনে দু-একবার এগুলো পরিষ্কার করা যেত। এগুলো পরিষ্কার করার জন্য যেকোন দোকান থেকে অ্যালকোহল বেইসড লিকুইড ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে জীবাণু মুক্ত করতে পারেন।

অপর ব্যক্তির কিছু ব্যবহার করবেন না :

এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে এবং শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমেও একজনের থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পরে। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতোই এই ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে। থুতু ফেলার সময়ও আপনাকে হতে হবে সাবধান। ভাইরাসটি নতুন হওয়াতে এখনই এর কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এমনকি এমন কোনও চিকিৎসাও নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। তাই এই রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে অন্যের প্লেট, চশমা, কাপ, তোয়ালে, ব্যক্তিগত জিনিস এমনকি অন্যের বিছানা ব্যবহার কিংবা আশেপাশে যাওয়া, এ সকল কিছু এখন থেকেই কমিয়ে দিতে হবে। একে অপরের সংস্পর্শে থাকা সম্পূর্ণ কমিয়ে দিতে হবে।

সাবান দিয়ে ভালো মত ধুয়ে নিন :

করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে চাইলে, আপনার ব্যবহারের সবকিছু সাথে সাথে ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি ব্যবহার করে সাবান বা লিকুইড সোপ দিয়ে সাথে সাথে ধুয়ে নিন। বেশি কিছু করবার প্রয়োজন নেই, সাবান দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ ঘষে মেজে, তারপর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ব্যবহারের লন্ড্রি কাপড় কিংবা বিছানার চাদর একইভাবে গরম পানি আর ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি আর ডিটারজেন্ট, যেকোন জীবাণু ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।

ঘরের মেঝে পরিষ্কার করুন :

করোনা ভাইরাস থেকে ঘরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ঘরের মেঝে নিয়মিত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। মেঝে থেকে এই ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা কম হলেও সাবধান থাকাটাই সবচেয়ে নিরাপদ। সেভলন অ্যান্টিসেপটিক পানির সাথে মিশিয়ে ঘরের মেঝে মুছে নিন। শুধু কোভিড -১৯ নয়, অন্যান্য রোগ জীবাণু থেকেও আপনি অচিরেই মুক্তি পেয়ে যাবেন।

ইলেকট্রনিক্সের জিনিসগুলো পরিষ্কার রাখুন :

হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো অবশ্যই পরিষ্কার রাখুন। আপনি চাইলে এগুলো ঘরোয়া উপায়ে পরিষ্কার করতে পারেন। তার জন্য আছে নানা রকমের কার্যকরী টিপস। হোম অ্যাপ্লায়েন্স ছাড়াও আরও বেশ কিছু অনুষঙ্গ আছে যেগুলো নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত ঘরে এবং বাইরে দৌড়াই। এবং ঘর পরিষ্কারের পাশাপাশি ঘরের ইলেক্ট্রনিক্সগুলো পরিষ্কার করতেও ভুলে যাই। যেগুলো হল, ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি। এগুলো নিয়ে আমরা বাইরে অনেক জায়গায়ই ঘোরাফেরা করি। সুতরাং এগুলোর মাধ্যমেও এই ভাইরাসটি আমাদের ঘরে এবং দেহে প্রবেশ করতে পারে। এইজন্য এগুলো অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করুন। এবং সময় সময় খেয়াল রাখুন যে আবার পরিষ্কার করা প্রয়োজন কিনা।

ধোয়ামোছার জিনিসগুলো পরিষ্কার করুন :

একবারের ব্যবহারের পোঁছাটি পুনরায় ব্যবহার করার জন্য এই ভাইরাসটি আবার ছড়িয়ে যেতে পারে। সুতরাং ব্যবহারের পোঁছা, স্পঞ্জ এবং মোপসগুলো গরম পানি ব্যবহার করে সাবান দিয়ে ভালোমত পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। দেখা গেল, পরিষ্কার হয়ে যাওয়া জীবাণুগুলো আবারও ঘরের থেকে গেল। সেজন্য প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজন হলে ধুয়ে ফেলা পোঁছা গুলো তাপের সাহায্যে শুকিয়ে নিতে হবে।

পোষ্য প্রাণীটির যত্ন নিন :

আমাদের সবচেয়ে প্রিয় এবং বেশ আদুরে হল এই পোষ্য প্রাণীগুলো। কিন্তু কষ্টের হলেও, এটাই সত্যি যে এই নিরিহ প্রাণীগুলোও এই ভাইরাসের বাহক হতে পারে। তথ্যে আছে, ইতিমধ্যে কিছু পোষ্য প্রাণীর দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাই তাদের প্রতি রাখতে হবে বিশেষ খেয়াল। আপনার পোষা সব প্রাণীকেই কুসুম গরম পানি এবং সাবান দিয়ে ভালো মত গোসল করান। আরও ভালো হয় জীবাণুনাশক ব্যবহার করলে। এমন সময়ে এই পোষ্য প্রাণীগুলো নিয়ে বাসার বাইরে বের না হওয়াই শ্রেয়।

অতিথি আগমন কমিয়ে ফেলুন :
ঘরের ভেতর বাইরের মানুষদের আনাগোনা যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনুন। এই ভাইরাসটির অণ্ডস্ফুটন সময়কাল হচ্ছে ২ থেকে ১৪ দিন সুতরাং এই সময়কালে ঘরের ভেতর বাইরের মানুষ না আনাই শ্রেয়। করোনা ভাইরাস থেকে ঘরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনাকে এতটুকু করতেই হবে। কেননা নিজের ও ঘরের সকলের নিরাপত্তা সবকিছুর উর্ধ্বে।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলো মধ্যে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ তার নাম লিখিয়েছে এবং দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এবং এমন অবস্থায় শুধুমাত্র নিজস্ব সাবধানতা দ্বারা এই সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। সুতরাং, আজ থেকে বরং এখান থেকেই এই উল্লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত শুরু করুন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved SOMOYERNUR
Theme Customized BY LatestNews