বিশেষ প্রতিবেদক :
ভাসানচরে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিতে ৯৪কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি জাহাজ তৈরি করছে খুলনা শিপইয়ার্ড।জাহাজগুলোর তিনটি এরই মধ্যে হস্তান্তর করেছে শিপইয়ার্ডটি। অপর জাহাজটি আগামী ১৫ ডিসেম্বর হস্তান্তর করা হবে বলে নির্ধারণ করা রয়েছে।
১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে চুক্তির অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ খুলনা শিপইয়ার্ডে এ জাহাজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ১২ জুন দুটি ও গত ৭ নভেম্বর একটি জাহাজ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (জিএম) ক্যাপ্টেন এম এস করিম জানান,
তিনি আরো বলেন, ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩’এর আওতায় ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) নামের চারটি জাহাজ নির্মাণ কাজ শেষের পথে। প্রতিটি এলসিইউ এর দৈর্ঘ্য ৪২ মিটার এবং চওড়া ১০ মিটার। এর গভীরতা ১ দশমিক ৮ মিটার এবং ওজন ৪১৫ টন। জাহাজগুলোর সর্বোচ্চ গতি ১২ নটিক্যাল মাইল, যার স্বাভাবিক গতি ১০ নটিক্যাল মাইল। এ জাহাজ একবার যাত্রা করে একটানা ১ হাজার ৫০০ নটিক্যাল মাইল চলতে সক্ষম।
ক্যাপ্টেন এম এস করিম জানান, জাহাজগুলোতে ২৫ জন নাবিকের থাকার জন্য সার্বিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর পাশাপাশি ২৮০ জন যাত্রী বহনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাহাজগুলোতে ১৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী বহন করা সম্ভব।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ২ হাজার ৩১২ কেটি টাকা ব্যায়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এরই অংশ হিসেবে নৌবাহিনী চারটি এলসিইউ (জাহাজ) নির্মাণে খুলনা শিপইয়ার্ডের সঙ্গে চুক্তি করে। সম্পুর্ণ সরকারি অর্থায়নের এ প্রকল্পের কাজ চলছে।