অতি সাধারণ ও সহজলভ্য কিছু খাবার আছে যাতে থাকে হরেক রকমের পুষ্টি উপাদান এবং শরীরের জন্য তা যথেষ্ট উপকারী।
কিছু খাবার নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে যা শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গে প্রয়োজন।
তবে হরেক রকম পুষ্টি আছে এমন খাবারগুলো খাওয়ার যেমন নানান উপায় আছে তেমনি শরীরের সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখাটাও এরা সহজ করে তোলে।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানানো হল এমন ছয়টি খাবার সম্পর্কে।
জলপাইয়ের তেল:
‘অলিভ অয়েল’ নামেই হয়ত এটি বেশি মানুষের কাছে পরিচিত। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমানো, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা, হজমের সমস্যা দূরে রাখা ইত্যাদি নানান গুণে ভরপুর এই জলপাইয়ের তেল। রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাদে আনে ভিন্ন মাত্রা, রূপচর্চাতেও এর ভূমিকা অনন্য। এতে থাকে প্রাকৃতিক ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক উপাদান। চুল, নখ, ‘লিপ বাম’ যেভাবেই ব্যবহার করা হোক না কেন, ‘অলিভ অয়েল’ হতাশ করবেনা।
ফ্লাক্সসিড:
বাংলায় এটি তিসি নামে পরিচিত। ছোট্ট এই বীজ-জাতীয় খাবারটির যেন আগাগোড়া পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রচুর পরিমাণে ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ থাকে এতে যা শরীরের জৈবিক তেল উৎপাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং ত্বককে লাবণ্যময় করে।
ওজন কমাতে তিসি অত্যন্ত উপকারী। আবার এতে কোলেস্টেরল না থাকায় হৃদযন্ত্রেরও পরম বন্ধু। চুল পড়ে যাওয়া বর্তমান সময়ে একটি সাধারণ সমস্যা আর তিসি স্বাস্থ্যোজ্জল চুল গজাতে সাহায্য করে।
পেঁপে:
ফলের মধ্যে ‘সুপার ফুড’ হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। এতে থাকে ‘পাপাইন’, যা ত্বক ফর্সা করা ক্রিম, লোশন, ফেইস মাস্ক ইত্যাদিতে ব্যবহার হয় বিশ্বব্যাপি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই থাকে পেঁপেতে যা ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ অসংখ্য রোগের কবল থেকে রক্ষা করে।
নারীদের ঋতুস্রাবের চক্র স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর খাবার এটি। আর এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করার ক্ষমতাও অতুলনীয়।
নারিকেল তেল:
খাবার একটি, উপকার অজস্র এমন খাবারের তালিকায় সবার উপরে স্থান পাবে নারিকেল তেল। রান্না, রূপচর্চা, খাওয়াসহ সব ধরনের প্রয়োজনেই ভরসা রাখা যেতে পারে এর ওপর। ত্বক লাবণ্যময় করতে নারিকেল তেল অনন্য। এতে আছে কয়েক ধরনের ভিটামিন, খনিজ উপাদান, ভোজ্য আঁশ- যা একে খাদ্যাভ্যাসের অন্যতম পুষ্টিকর উপকরণ করে ।
কাওন:
‘কিনওয়া’ বা কাওনের আরেক নাম হতে পারে সৌন্দর্যবর্ধক খাবার। এটি ‘কোষকলা’ তৈরিতে সহায়তা করে যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ত্বকের বলিরেখা বা বিভিন্ন ধরনের ছোপ পড়া থেকে রক্ষা করে। এর আরেকটি গুণ হণ ব্রণের আক্রমণ থেকে বাঁচায়।
অ্যালো ভেরা:
নারিকেল তেলের মতোই হরেক গুণ বয়ে আনে অ্যালোভেরা। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, ব্রণ, দাগ এবং রোদপোড়াভাব দূর করার ওষুধ ও প্রসাধনীতে এটি ব্যবহার হয়। ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য অ্যালো ভেরার জেল সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় নিশ্চিন্তে, আর তা একাই যথেষ্ট। অ্যালো ভেরার শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুক জ্বালাপোড়া সারায়। হজমেও অত্যন্ত উপকারী।