বিশেষ প্রতিনিধি :
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা সোমবার রাতে মিডিয়া কর্মিদের জানান মাহমুদুলকে বরখাস্ত করার পাশপাশি তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলাও করার হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এর বেশি কিছু বলার নাই।”
জানাযায়, গত অগাস্টের শুরুতে পুলিশ সদর দপ্তরে ওসি মাহমুদুলের বিরুদ্ধে এক নারী লিখিত অভিযোগ করলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোনালিসা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অভিযোগের সত্যতা’ পাওয়া গেলে তদন্তে । সে অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেন বলে জানান মোনালিসা। তার ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ওসি মাহমুদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
অভিযোগ ঐনারী বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নওগাঁ থেকে ঢাকায় ডেকে এনে একটি হোটেলে তোলেন ওসি। সেখানে খাবারের সঙ্গে ‘চেতনানাশক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
অভিযোগে ওই নারী আরো বলেন, চেতনা ফেরার পর ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি প্রশ্ন করলে মাহমুদুল হক তাকে ‘ভালোবাসার কথা, বিয়ে করার আগ্রহের কথা’ বলেন।
ব্যাংকে চাকরিরত ওই নারী বলেন,বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরেও বিভিন্ন সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ।
তিনি লিখেছেন, এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু মাহমুদুল হক তাকে গর্ভপাতে ‘বাধ্য করেন’। বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে অফিসে গেলে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।
এই পরিস্থিতিতে ওসি মাহমুদুলের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী। তার দাবি, মাহমুদুলের বাবা প্রথমে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখলেও পরে ছেলের সঙ্গে মিলে নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন।
আর কোনো উপায় না দেখে এক সময় আত্মহত্যার চেষ্টাও করে ছিলেন বলে ওই নারী তার অভিযোগে লিখেছেন।