কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ কাপ্তাই রাইখালী ইউপি প্যানেল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক প্রশাসনকে সহযোগিতা করায় এবং চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করছে।
ইউপি চেয়ারম্যানে বড় ছেলে একরামুল হক রাব্বি অভিযোগ করে বলেন,(সোমবার) নাররনগিরি রাইখালী ইউপি এলাকায় পাহাড়ী সম্প্রদায়ের মাসসের আয়োজনে একদিনের জল উৎসব ছিল। ঐ জল উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন,সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার,এমপিসহ রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উধর্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উক্ত জল উৎসবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ-কর্মে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে এবং একদিনের জন্য সাংগ্রাই জল উৎসবে ভাঁসমান কিছু দোকান দেয় এলাকার লোকজন। ঐ ভাঁসমান দোকান হতে স্থানীয় থোয়াইচিং প্র“ চৌধুরী রুবেলের ভাতিজা মিশুক চাঁদা চায়। চাঁদা না দেওয়ার প্রতিবাদ করেন,ইউপি চেয়াম্যানে ছেলে একরামুল হক রাব্বি। কেন চাঁদা দেওয়া হল না বা প্রশাসনকে সহযোগিতা করার অভিযোগে মঙ্গলবার(১৬এপ্রিল) সন্ধ্যা বেলায় রাইখালী ইউপি চেয়াম্যানকে একা পেয়ে থোয়াইচিংপ্র“ চৌধুরী রুবেল (পার্বত্য চটগ্রাম যুব সংহতির সাবেক সভাপতি) নেতৃত্বে ৩/৪ মিলে হামলা করে গুরুতরভাবে আহত করে।
এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে দ্রুত এসে মমুর্ষ অবস্থায় রাতে প্রথমে কাপ্তাই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে । উক্ত ঘটনায় এলাকার লোকজন এসে রাতে হাসপাতাল ভিড় করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে হামলা করায় এলাকায় সাধারন লোকজনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আশ্রাফ আহমেদ জানান,এ ব্যাপারে কোন মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি। পরে উপজেলা পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক ও ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন,রাঙ্গামাটি জেলার আ.লীগের শ্রম শ্রম্পাদক মোঃ হানিফসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ছুটে আসে এবং শারীরিক খোজ খবর নেন। বুধবার(১৭এপ্রিল) হাসপাতালে ৪১ বিবিজি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অংসুইছাইন চৌধুরী দেখতে আসেন এবং তার শারীরিক খোঁজ খবর নেন।
এদিকে উপজেলা পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়াম্যান মফিজুল হক বলেন,ইউপি চেয়াম্যানের ওপর যে হামলা হয়েছে তা ন্যাক্কারজনক আমরা এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করি।