তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ যে বিস্ময়কর উন্নয়ন অর্জন করেছে, তা বিশ্ব গণমাধ্যমে তুলে ধরা প্রয়োজন। ’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের আমন্ত্রণে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর আমেরিকা থেকে আগত ২৫টি দেশের ৪৭ জন গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তথ্যসচিব আবদুল মালেক, প্রধান তথ্য অফিসার জয়নাল আবেদীন, সফর সমন্বয়ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুর রহমান এবং তথ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা বিশ্বে মিঠাপানির মাছ ও সবজি উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম। শুধু তাই নয়, পঞ্চাশের দশকে ৪৭ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে খাদ্য ঘাটতির দেশ, যার ভূমি একটুও বাড়েনি, সেই দেশ আজ খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত এবং রফতানিকারক। কৃষি খাতে এ অভূতপূর্ব ঘটনা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থারও গবেষণার বিষয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য গতিশীল নেতৃত্বে ২০০৮ সালের ৬শ’ ডলারের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে এখন প্রায় ২ হাজার ডলার, রফতানি ১০ মিলিয়ন থেকে ৪২ মিলিয়ন ডলার। মানুষের গড় আয়ু ৬৫ থেকে বেড়ে ৭২.৮ বছর। মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল সূচকে পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে এগিয়ে গেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুমতি দিয়েছিলেন। গণমাধ্যমের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদার নীতির কারণে বাংলাদেশে গত দশ বছরে গণমাধ্যম স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয়েছে। সরকারি ৪টি টেলিভিশনসহ দেশে অনুমোদিত ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশনের ৩৩টি এখন সম্প্রচারে রয়েছে। ২৮টি অনুমোদিত এফএম বেতারের ২২টি এবং অনুমোদিত ৩২টি কমিউনিটি বেতারের ১৭টির সম্প্রচার চলছে। ২০০৮ সালে বছরে যেখানে ৬শ’ দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হতো, তা এখন প্রায় ১২শ’। তখনকার হাতেগোনা অনলাইন নিউজপোর্টালের সংখ্যা এখন প্রায় ৩ হাজার।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৩১তলা বিশিষ্ট ভবন এবং বহুমুখী তথ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। প্রেস ইনস্টিটিউটে পেশাগত প্রশিক্ষণের সঙ্গে চালু করা হয়েছে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ডিগ্রি।
উল্লেখ্যশ্রীলংকা, যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, মিশর, ভুটান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, গ্রিস, বাহরাইন, জাপান, ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, উজবেকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইথিওপিয়া, তুরস্ক, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, ফ্রান্স, হংকং ও ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪৭ জন প্রতিনিধি ১৩ থেকে ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করছে।