বাংলাদেশে বসবাসকারী নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন করে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। গত সপ্তাহে ওই সতর্কতা জারি করায় যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন নাগরিকদের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। ‘কে’ ক্যাটাগরিভুক্ত ওই তালিকায় রয়েছে ৩৫টি দেশ, যেখানে বাংলাদেশের নামও রয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল নতুন ওই ট্রাভেল এলার্ট বা ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যেখানে ওই সব দেশে মার্কিন নাগরিকরা ভ্রমণে গেলে ‘অপহৃত’ কিংবা ‘পণবন্দি’ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদিন সংঘবদ্ধ অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাহীনতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিসহ কিছু সূচকের ভিত্তিতে মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের ওপর সতর্কতা জারি করা হতো। কিন্তু এবার ‘কে’ নামক নতুন একটি সূচক যোগ করা হয়েছে- যাতে ‘অপহরণ’ ও ‘পণবন্দি’ হওয়ার আশঙ্কাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
‘কে’ ক্যাটাগরির তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বারকিনা ফাসো, ক্যামেরন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কলম্বিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, হাইতি, ইরান, ইরাক, কেনিয়া, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালি, মেক্সিকো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো, তুরস্ক, উগান্ডা, ইউক্রেন (রুশ নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেন), ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশটি জানিয়েছে, ওই ৩৫ দেশে ভ্রমণকারী মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এসব দেশের কনস্যুলার অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: যুগান্তর