শেয়ারবাজারে আরও দরপতন হয়েছে। মঙ্গলবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ৫৩ পয়েন্ট কমেছে। আর দিনশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকা কমে ৩ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকায় নেমে আসে। বাজার মূলধনের এই অবস্থান চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়- মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৪৭টি কোম্পানির ৭ কোটি ৬৪ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৩৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ২৩১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইর ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯শ’ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএ সভাপতি শাকিল রিজভী বলেছেন, ‘মানসম্মত আইপিও না আসার পাশাপাশি বিভিন্ন গুজবের কারণে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। বাজারে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভালো আইপিওর পাশাপাশি পুঁজিবাজারে চলমান তারল্য সংকট কাটাতে বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে। তাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের বিনিয়োগের সক্ষমতা বাড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে সক্রিয় হতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই বলে আইপিও বন্ধ করা যাবে না, অবশ্যই আইপিও আসতে হবে। সেই আইপিও হতে হবে মানসম্মত। যাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইপিওতে মানসম্মত কোম্পানি আনার বিকল্প নেই। কারণ মানসম্মত আইপিও আসলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।
এর ফলে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে।’
শীর্ষ দশ কোম্পানি : মঙ্গলবার ডিএসইতে যেসব কোম্পানির শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হল- ইস্কয়ার নিট কম্পোজিট, ইউনাইটেড পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ইস্টার্ন কেবলস, গ্রামীণ ফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ফরচুন সুজ, মুন্নু সিরামিকস, রেকিট অ্যান্ড বেনকেইজার এবং স্কয়ার ফার্মা।
যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হল- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, কে অ্যান্ড কিউ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, তাক্কাফুল ইন্স্যুরেন্স, রেকিট বেনকেইজার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স এবং এফবিএফ আইএফ।
অন্যদিকে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হল- আরএন স্পিনিং, ইউনাইটেড পাওয়ার, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, সাভার রিফ্রেক্টরিজ, এমএল ডাইং, মোজাফফ্র হোসেন স্পিনিং, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস এবং সোনালি আঁশ।