মমিনুল ইসলাম: চাঁদপুরের মতলব উত্তরে অতিরিক্ত লোড শেডিংয়ের কথা নতুন করে বলার আর কিছু নাই। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। শীতের শেষে গরমের শুরুতেই মতলব উত্তরে লোড শেডিংয়ের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ভূক্ত ভোগীরা জানান,সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেতো আর কথাই নেই। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসে ২/৩ দিন পর। গত তিনদিন আগে সামান্য ঝড় হয়েছিল, তার কারনেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিন দিন ধরেই বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন। মাঝে মধ্যে আসলেও বেশির ভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ থাকেনা। এতে করে উপজেলার লোকজন পড়েছে চরম বিপাকে।জানাযায় মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গত তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার, ব্যাবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে ফ্রিজে রাখা খাদ্য পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়,এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলছে।তারা ও পড়ছে বেকায়দায়।তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা হচ্ছে না।এতে করে উপজেলার লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। ঘনিয়ারপার গ্রামের ব্যবসায় সুমন বেপারী জানান,অতিরিক্ত লোড শেডিংয়ের কারনে ফ্রিজে থাকা মাছ,মাংস, দধি, আইস ক্রিম নষ্ট হয়ে গেছে।
নিশ্চিন্তপুর কেন্দ্রর এইচএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন আকতার জানান,সামান্য ঝড় আসলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।আসে ২/৩ দিন পর।এতে আমাদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে।মোমবাতি জ্বালিয়ে বাড়িতে পড়াশোনা করি।
ছেংগারচর সরকারি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক আহসান উল্যাহ সরকার বলেন,বিদ্যুৎ না থাকায় দিনের বেলায় মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা নিতে হয়। চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহা-ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নুরুল আলম ভূইয়া জানান,ঝড়- বৃষ্টি আসলে বিভিন্ন লাইনে গাছ পালার ডাল পড়ে।ফলে লাইন চেক করতে প্রচুর সময় লাগে।আমরা আপ্রান চেষ্টা করি গ্রাহকের সেবা দেয়ার জন্য।