মমিনুল ইসলাম:
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের আল আমিনের বাড়িতে শোকের ছায়া।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাগল গ্রামের মাওলানা আমির হোসেনের তিন ছেলের মধ্যে আল আমিন সবার বড়। ৭ মাস আগে আল আমিন জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুরে যান।
রোববার রাতে দূর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে আল আমিনের মৃত্যুর সংবাদ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আশপাশের প্রতিবেশিরা তাদের সান্তনা দিতে ছুটে আসেন। পুরো এলাকায় এখন শোকের মাতম।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য আল আমিনকে বিদেশ পাঠান পরিবার। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের ওপর এখন যেনো আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। নিহতের বাবা মাওলানা আমির হোসেন বলেন, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর আল আমিনকে মালয়েশিয়া পাঠান। এরমধ্যে বেশ কিছু টাকাও পাঠিয়েছে আল আমিন।
নিহতের মা আমেনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার আল আমিনকে তোমরা নিয়ে আসো। প্রতিবেশি মিলন গাজী বলেন, তার ছেলে রাসেলের সঙ্গে আল আমিন মালয়েশিয়া যায়। তিনি আরো জানান, সোমবার ভোরে দুর্ঘটনার সংবাদ পান তারা।
এলাকাবাসী বলেন আল আমিন অত্যন্ত ভদ্র ছেলে। তারা সরকারের কাছে দাবি করেন যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে আল আমিনের লাশ দেশে ফেরত আসে। পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান স্বজনরা।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের কাছে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকটি দেশের শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাবার পথে বাস দুর্ঘটনার শিকার হন। এসময় ৫ বাংলাদেশিসহ মোট ১১ জন নিহত হয়।