আল মামুন সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ সন্তান মেনে না নেয়ায় চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে এক ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদনণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে আসামি হাশেম আলীর উপস্থিতিতে এ রায় দেন চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার।
এ মামলার বাদী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর বাগানপাড়ার কাজুলী খাতুন গত ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে এক লিখিত অভিযোগ দিলে তারই ভিত্তিতে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬
ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে তার বাবার বাড়িতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের হাশেম আলী তার
সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এরপর সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। হাশেম আলীকে বিয়ের কথা বললে সে সেটা অস্বীকার করে। তারপর আদালত এ বিষয়টি তদন্তের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূরজাহান খানমকে আদেশ দেয়। নূরজাহান খানমসহ চার সদস্যের একটি কমিটি ওই ঘটনার তদন্ত করে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য আদালতে মত প্রকাশ করেন।
আদালত সেই মোতাবেক প্রমান করা যায় এমন উপাত্ত, দামুড়হুদা মডেল থানার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর আদেশ দেয়। সেই আদেশ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা কর্তৃপক্ষ ঢাকা সিআইডি দপ্তরে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য উপাত্ত গুলো পাঠায় । সেখান থেকে পরীক্ষা শেষে সে গুলো আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরই মধ্যে কাজুলী খাতুন একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। তার নাম হাসিলা খাতুন (৩)। এ ঘটনার ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ১৩৫/১৫ মামলা দায়ের হয়।
চার জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমানে আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জিয়া হায়দার উল্লেখিত রায় ঘোষনা করেন।
রায়ে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে এক ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদনণ্ড দেয়া হয়েছে।
আসামী পক্ষের কৌশলী এ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন খান ও রাষ্ট্র পক্ষের কৌশলী পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক মামলাটি পরিচালনা করেন।