ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) ২০১৯-২০২১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ৪২ পরিচালক পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ জনের মনোনয়ন ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিল হয়েছে। একই অভিযোগে ২ মনোনীত পরিচালকের মনোনয়নও বাতিল হয়েছে। অবশ্য ৩ জনই মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করতে পারবেন। মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে জয়ী প্রার্থীদের তালিকা টানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। ২৭ এপ্রিল এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের ভোটাভুটির কথা ছিল। তবে ভোটাভুটির যে প্রয়োজন হচ্ছে না তা জানা গিয়েছিল গত ২৫ মার্চ। ওই দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ৪২টি পরিচালক পদে ৪২ জনই শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৪ মে এফবিসিসিআইয়ের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন হয়েছিল। পরিচালক পদে চেম্বার অংশে ভোটাভুটি ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। তবে অ্যাসোসিয়েশন অংশে তখন ভোটাভুটি হয়েছিল।
সব মিলিয়ে সংগঠনটিতে মোট পরিচালক পদ ৭২টি। এসব পদ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে ৩৬টি পদে পরিচালক হন দেশের জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা চেম্বার থেকে। আর ৩৬টি পদ সংরক্ষিত পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর জন্য। ৭২টি পরিচালক পদের মধ্যে ৪২টিতে সাধারণ সদস্যরা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করেন। বাকি ৩০টি পদে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সংগঠন থেকে মনোনীত পরিচালক হন।