কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দস্যু বাহিনী ও মাদককারবারীদের পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে জেলার পেকুয়ায় ও টেকনাফ উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’র এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
টেকনাফ: ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার খারাংখালী এলাকায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি বিজিবি।
টেকনাফের ২ নং ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি’র) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, রাতে বিজিবির একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় টেকনাফ উপজেলার খারাংখালীর নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে দুইজন ব্যক্তি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে। কর্তব্যরত বিজিবির সদস্যরা তাদের বাধা দিলে বিজিবিকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোড়ে।আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে মিয়ানমারের দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
তিনি জানান, তাদের দেহ তল্লাশি করে এক লাখ নব্বই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। নিহতদের টেকনাফ থানা পুলিশের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে একটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
পেকুয়া: ভোর ৫টার দিকে উপজেলার মগনামা ঘাট এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জলদস্যু নিহত হয়েছে। এসময় ৮টি দেশীয় বন্দুক ও ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জলদস্যুদের পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকায় অভিযানে যান। এসময় একটি জলদস্যু বাহিনীকে ধাওয়া করলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা।
র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। র্যাব-জলদস্যু গোলাগুলির একপর্যায়ে জলদস্যুরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ৮টি দেশীয় বন্দুক ও ২৬ রাউন্ড গুলিসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জলদস্যুকে উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। মরদেহ ২টি ময়নাতদন্তের জন্য পেকুয়া থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত জলদস্যুদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।