কাপ্তাই প্রতিনিধি : পার্বত্য চটগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জের বিভিন্ন বন বিটে দু:স্থ,অসহায়,নদী ভাঙ্গনের লোকজন অংশীদার ভিত্তিত্বে বন বিভাগের সাথে ১৫বছর ব্যাপী আাগর চাষ করে আসছে। ২০০৭- ২০০৮সালে এ কার্যক্রম কাপ্তাই রেঞ্জের বিভিন্ন বিটে চারা রোপন করা হয়। আজ প্রায় ১৩ বছর এক-একটি আগর গাছের জন্ম। প্রায় ২/৩ বছর পর এ চাষের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চাষীরা অভিযোগ করেন,তারা এক একটি গাছ বড় করতে লক্ষ-লক্ষ টাকা ব্যয় সহ বিভিন্ন ভাবে শ্রম দিয়ে আসছে।
যখন গাছগুলো বড় হয়েছে এবং অতিসয় উৎপাদনে যাবে তখনই এক শ্রেণীর দুর্বৃত্ত নির্বিচারে গাছগুলো কর্তন করে বাগানে ফেলে রেখেছে। চাষীরা অভিযোগ করেন, কাপ্তাই রেঞ্জের কামিলাছড়ি বন বিটে গত কয়েক দিন যাবত ৪/৫জন আগর চাষীদের প্রায় ৪শত আগর গাছ কর্তন করে বাগানে ফেলে রেখেছে।
আগর চাষী,জাহাঙ্গীর,সজল,শাহ আলম বাবুসহ অনেক চাষিরা বাগানে গিয়ে গাছ কর্তন দেখে হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে। তারা বলেন আমাদের সব সর্বনাশ হয়েছে। আমাদের কলিজার উপর কোপ মেরেছে। তারা এর ক্ষতি পুরন এবং দুর্বৃত্তদের খুজে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন। এদিকে আগর চাষি সমিতির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল বলেন,বন বিভাগ আমাদের বিরোধপূর্ণ জায়গা দেওয়ার ফলে আজ এ পরিনতি। তিনি চাষীদের ক্ষতিপুরনের দাবি জানান।
গাছ কর্তৃনকৃত চাষিদের মধ্যে এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়িত তারা বাগান পরিদর্শন করছেন এবং এর খোঁজ খবর নিচ্ছেন। অন্যান্য চাষিরা বন বিভাগের নিকট বাকী অবশিষ্ট গাছের নিরাপত্তা দাবি জানান।
এদিকে দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) তৌফিকুল ইসলাম (শুক্রবার) ক্ষতিগ্রস্থ আগর চাষীদের বাগান পরিদর্শন করেন এবং তাদের শান্তনা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি সকল চাষিদের সাথে বসে করনিয় বিষয় নিয়ে দ্রুত আলোচনা করবেন বলে উল্লেখ করেন। এদিকে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে উল্লেখ করেন।