কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি : কাপ্তাইয়ের সৌর শক্তির সাহায্যে প্রায় ৭.৪ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে । আগামী এপ্রিম মাসে যে কোন দিন সৌর প্রকল্পটি উৎপাদনে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের নিতি নির্ধারকগন। পিডিপির চীফ ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহমান জানান,কাপ্তাই প্রজেক্টের ভিতর কর্ণফুলী পানি বিদুৎ কেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন খালী জায়গায় সৌর বিদুৎ প্রকল্পটি ২০১৭সালের ৯জুলাই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। পুরো প্রকল্প এলাকা সুউচচ সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি। ইতি মধ্যে প্রকল্পের সিংহ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য,৭দশমিক ৪ মেগাওয়েট সৌর শক্তি পাওয়ার নির্মাণের লক্ষে ইপিসি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ‘কাপ্তাই ৭.৪ মেগাওয়াট সোলার ফটোভোলটিক গরিড কানেকটেড পাওয়ার জেনারেশন পাল্টন কাপ্তাই’। চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেটটিক করর্পোরেশন পাওয়ার প্লানটি নির্মাণ করেছে। এর প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৯ কোটি ৫৫লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৮৪ কোটি ৫৫লাখ ৯০হাজার টাকা দিয়েছে এশিয়ান ব্যাংক(এডিবি)। এ প্রকল্পের সরকারি(জিওবি) অর্থায়ন হচ্ছে ১৭কোটি ৫৫লাখ ২৮ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ৭কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার টাকা অর্থায়ন করছে পিডিবি। এ প্রকল্পের প্রতি কিলোয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫টাকা ৪৮ পয়সা। প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর(পিডি) মোঃ ফারুক জানান,প্রায় ১১০কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পুরো অর্থের জোগান দিচেছ এডিবি। আগামি এপ্রিল মাসে যে কোন দিন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হতে পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সৌর শক্তির সাহায্যে এই প্রকল্প থেকে দৈনিক ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কাপ্তাই প্রজেক্টে ব্যয় করা হবে। বাকী ৫.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হবে।